সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরীর সমুদ্রে বড়সড় বিপদের মুখে পড়েছিলেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী। আচমকা স্পিডবোট উলটে মহাবিপত্তি সিএবি সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের। যদিও শেষ পর্যন্ত বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। স্নেহাশিস বলছেন, এ যেন দ্বিতীয় জীবন পেলেন। তার জন্য ‘জগন্নাথদেবকে ধন্যবাদ’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদার।
স্নেহাশিস বলেন, “জগন্নাথদেবকে ধন্যবাদ। যেন পুর্নজন্ম হল। আমাদের বোটটি সমুদ্রে উলটে যায়। স্থানীয় লোকেরা ও লাইফগার্ডরা আমাদের উদ্ধার করেন।” পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রত্যেক বছর পুরীতে যাই। গত ৩১ বছর ধরে এটা চলছে। জগন্নাথদেবকে পুজো দিই। শনিবার আমরা ঠিক করি সমুদ্রে যাব। আমি জানি না কেন এরকম সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে সেটা ঠিক করেছিলাম।”
তারপর? সিএবি সভাপতি বলেন, “তখন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা বাজে। আমাদের বোটে আরেকটি দম্পতি ছিল। লাইফগার্ডরাও ছিলেন। সেই সময় একটা বড় ঢেউ আমাদের বোটে ধাক্কা মারে। আমাদের বোটটা সঙ্গে সঙ্গে উলটে যায়। আমরা জলের তলায় বোটের নীচে চাপা পড়ে যাই। তখনও বুঝতে পারছিলাম না কী হয়েছে। হঠাৎ আরেকটা ঢেউ এসে বোটটাকে আমাদের উপর থেকে সরিয়ে দেয়। তাতেই আমরা বাঁচার সুযোগ পেয়ে যাই। তার মধ্যে লাইফগার্ডরা চলে এসে আমাদের উদ্ধার করেন। বলে বোঝাতে পারব না, কত বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। আমি শুধু জগন্নাথদেবকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
উল্লেখ্য, পুরীর সমুদ্রে একদল ট্যুরিস্টের সঙ্গে স্পিডবোটে উঠেছিলেন তাঁরা। সেখানেই বিপত্তি ঘটে। তার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, একটি স্পিডবোট সমুদ্রে উলটো অবস্থায় ভেসে আছে। লাইফগার্ডদের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তাঁদের। স্নেহাশিসের স্ত্রী অর্পিতা এই ঘটনার জন্য স্পিডবোট চালককেই দায়ী করছেন।