সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই হয়তো বলে সমাপতন। বুদ্ধপূর্ণিমার দিনেই ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে ইতি! তবে ভারতের ‘নিউ নর্মাল’ নীতি যে আলাদা, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এদিন দেশ এবং গোটা বিশ্বকে বার্তায় জানান, এটা যেমন যুদ্ধের সময় নয়, সন্ত্রাসের সময় নয়। তেমনই অনেক ক্ষেত্রে যুদ্ধের পথ হেঁটেই আসে শান্তি।
কলিঙ্গ যুদ্ধের পরেই অখণ্ড শান্তির পথে হেঁটেছিলেন সম্রাট অশোক। কতকটা সেই কায়দায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে সোমবার পাকিস্তানকে সমঝে দেন মোদি। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি হয়েছে ঠিকই, তবে অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে পাকিস্তানের গতিবিধির উপর ভারতের নজর থাকবে। বেগড়বাই করলে মুখের উপর জবাব দেওয়া হবে। সেটাও ভারতের শর্তে, নিজস্ব পদ্ধতিতে।” ভারতের ‘নিউ নর্মালে’র তিন শর্ত স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বশান্তির চিরকালের দূত বুদ্ধের জন্মদিনে গোটা বিশ্বকে মোদির বার্তা—যেমন কুকুর, তেমন মুগুর। যে দেশে ‘স্টেট স্পনসর্ড টেররিজম’-এর বাড়বাড়ন্ত। যার ফল পহেলগাঁও কাণ্ড। তার উত্তরে মুখের উপর জবাব দিতেই হবে। এমন জবাব যাতে আতঙ্কিত হয় জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতারা। তাহলেই শান্তি ফিরবে।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করেন, পাকিস্তানকে বাঁচতে হলে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা হবে। ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ ভারত সহ্য করবে না। আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক। প্রয়োজন হলেই ব্যবস্থা নেবে। সত্যি বলতে ভারতবিক্রমে ভয় পেয়েই ১০ মে পাকিস্তানি সেনা ভারতীয় সেনার ডিজিএমও-র দ্বারস্থ হন। তারপরই হয় সংঘর্ষবিরতি। অর্থাৎ কার্যক্ষেত্রেও যুদ্ধের পথেই শান্তি ফিরল। কতদিন সেই শান্তি বজায় থাকবে তা ভারতের প্রতিবেশী দেশের উপরেই নির্ভর করছে।