যুদ্ধবিরতি শেষ, গাজাকে দ্বিখণ্ডিত করে ঢুকল ইজরায়েলি সেনা, দখল একাধিক শহর, মৃত ৪০০ পার

যুদ্ধবিরতি শেষ, গাজাকে দ্বিখণ্ডিত করে ঢুকল ইজরায়েলি সেনা, দখল একাধিক শহর, মৃত ৪০০ পার

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২ মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হতেই গাজায় পুরোদমে আক্রমণ শুরু করল ইজরায়েলি সেনা। জানা গিয়েছে, বুধবার গাজার একটা বড় অংশে সেনা পাঠিয়েছে ইজরায়েল। গাজার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে তারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত দু’দিনে ইজরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সংঘর্ষবিরতি চুক্তি শেষ হওয়ার পরেই মঙ্গলবার গাজার মাটিতে বেলাগাম বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল। ৩০০রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এই হামলার জেরে। তারপরের দিনই গাজা ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ল ইজরায়েলি সেনা। তাদের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘মধ্য এবং দক্ষিণ গাজার বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। মধ্য গাজার নেতজারিম করিডরের অনেকখানি দখল করে ফেলা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এই নেতজারিম করিডরের মাধ্যমেই উত্তর এবং দক্ষিণ গাজার মধ্যে যোগাযোগ বজায় থাকে। সেই করিডর ইজরায়েলের হাতে চলে যাওয়ার পর গাজার দুই প্রান্ত কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

এছাড়াও বেশ কয়েকটি এলাকায় বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা। বুধবার সকালে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজার আমজনতাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শ মত তাঁরা পণবন্দিদের ছেড়ে দেন। ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেন হামাসকে। তারপরেই স্থলপথে অভিযান শুরু করে ইজরায়েলি সেনা। এখনও পর্যন্ত গাজার তরফ থেকে প্রত্যাঘাতের খবর মেলেনি। হামাসের স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত দুই দিনে অন্তত ৪৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলি হানায়। তার মধ্যে ১৮৩ জন শিশু।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের উদ্যোগে গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে ইজরায়েল। কথা ছিল, এই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দি নাগরিকদের মুক্তি দেবে হামাস। সেইমতো বহু পণবন্দিকে মুক্তিও দেওয়া হয়। তবে ইজরায়েলের অভিযোগ সকল পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় মার্কিন প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। তাই সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ ফুরাতেই ফের বিধ্বংসী আক্রমণের পথে হাঁটছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *