সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বহুবার শিবির বদল করেছেন ট্রাম্প। কখনও হোয়াইট হাউসে ডেকে জেলেনস্কির পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আবার কখনও রাশিয়ার উপরে চাপিয়েছেন নিষেধাজ্ঞা। যুদ্ধের আবহে বদলাতে থাকা ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আলাস্কায় শুক্রবার বৈঠকে বসেন ট্রাম্প এবং পুতিন। এরপরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, “রাশিয়া একটি বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়।” ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে চুক্তি করা। জানা গিয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিন একমত হয়েছেন ‘যুদ্ধবিরতি’ টেকে না, তাই ‘শান্তি চুক্তি’ই একমাত্র পথ। যদিও শুক্রবারের তিন ঘণ্টা বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর এটিই প্রথম আমেরিকা-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠক।
বৈঠকের পর ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্ত্যন্ত সতর্ক প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন গঠনমূলক সহযোগিতায় প্রস্তুত। তিনি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাবকেও সমর্থন করেন। সমাজমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘প্রকৃত শান্তি চাই। সেটি স্থায়ী হতে হবে। শুধু রুশ আগ্রাসনের বিরতি নয়।’ তিনি আরও লেখেন, ‘হত্যা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধবন্দি ও অপহৃত শিশুদের ফিরিয়ে দিতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় ইউরোপ ও আমেরিকার ভূমিকা থাকতে হবে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, সীমান্ত সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যাবে না। জেলেনস্কির আবেদন, রাশিয়া সৎভাবে যুদ্ধ শেষ না করলে যেন তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়।
যদিও বৈঠকের পরেও অপরিবর্তিত রয়েছে পুতিনের অবস্থান। আলাস্কার বৈঠকের পর নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলেনস্কি বা ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথা বলেননি পুতিন। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানালেও তিনি সতর্ক করেছেন যে এই কাজের অগ্রগতি নির্ভর করবে কিয়েভ ও ইউরোপীয় দেশগুলির গঠনমূলক আচরণের উপর। এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, জমি বিনিময় ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছালেও চুক্তি হয়নি। তাঁর দাবি জেলেনস্কিকে চুক্তি করতে হবে।
যদিও এর মাঝেই ইউক্রেন দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনা জানিয়েছে, রাতে ডজন খানেক রুশ ড্রোন আটকানো হয়েছে। অন্যদিকে মস্কোর দাবি, তারা ২৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন নামিয়েছে।