হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: আগামী ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা। ওইদিন মহাকুম্ভে দ্বিতীয় পর্যায়ের অমৃতস্নান অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন অন্তত ১০ কোটি ভক্ত ডুব দেবেন সঙ্গমে। এই শাহী স্নান উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ভক্তদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে মহাকুম্ভে। শহরের সমস্ত জায়গায় তীর্থযাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ার মত। রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্টপ হোক কিংবা রাজপথ, সর্বত্র পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে।
উত্তরপ্রদেশের তথ্যবিভাগের ডিরেক্টর শ্রী শিশির বলেন, মৌনী অমাবস্যায় শাহী স্নানের দিন দশ কোটিরও বেশি ভক্ত সঙ্গমে ডুব দেবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। গত ২ দিনে ২ কোটিরও বেশি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন। ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্নে স্নান করতে পারেন তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৌনী অমাবস্যার আগে যোগী প্রশাসন ও কুম্ভ পুলিশের প্রস্তুতি তুঙ্গে। শিশির আরও বলেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ভক্তদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য পুরো মেলা এলাকাকে নো-ভেহিক্যাল জোন করে দেওয়া হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য সঙ্গমের তীরে ব্যারিকেড বসানোর কাজ চলছে জোরকদমে। জনতার সুবিধার্থে অমৃত স্নানের সময়ে বিশেষ প্রোটোকলগুলিও কার্যকর হবে না।
এছাড়াও জনসমাগম পরিমাপ করতে ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল অ্যান্ড কমান্ড সেন্টার (আইসিসিসি) চালু করা হয়েছে। সঙ্গমের কোথাও যেন অতিরিক্ত ভিড় না হয়, সেদিকেও নজর রাখবে এই আইসিসিসি। যেসমস্ত এলাকায় বেশি ভিড় হতে পারে, সেখানে জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের উপর নজরদারিও চালানো হচ্ছে। রাস্তা প্রশস্ত রাখার জন্য মেলার আশেপাশের বেআইনি দোকানগুলি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তা পরিষ্কার রাখার জন্য নিকাশি কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেলা এলাকায় যানজট এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভক্তদের পথ দেখানোর জন্য ২০০০টিরও বেশি নতুন পথনির্দেশিকা মোতায়েন করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। এছাড়াও কর্তব্যরত পুলিশের দলও তীর্থযাত্রীদের সঠিক পথ খুঁজে দিতে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে ভক্তরা অফিসিয়াল চ্যাটবট ডাউনলোড করতে পারবেন। গুগল এ সার্চ করে নিজেরাও পথ খুঁজে নিতে পারেন ভক্তরা। সবমিলিয়ে, কুম্ভে আগত ভক্তদের সাহায্যে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।