সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় মর্যাদাকে কী ভাবে সম্মান জানাতে হয় তা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেখে ইজরায়েলের শেখা উচিৎ। ইজরায়েল সরকারকে কটাক্ষ করে এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের প্রতিরক্ষানীতি বিশেষজ্ঞ জ্যাকি শালোম। সম্প্রতি জেরুজালেম পোস্ট সংবাদপত্রে তিনি লিখেছেন, মার্কিন সরকারের শুল্কনীতি নিয়ে উপযুক্ত অবস্থান নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সীমান্তে পাকিস্তানি সন্ত্রাসের যোগ্য জবাব দিয়েও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় মর্যাদা কোনও বিলাসিতার বিষয় নয়, বরং তা ফলপ্রসূ ও কৌশলগত সম্পদ।
সাম্প্রতিক কালে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করার কারণে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন সরকার। যে কারণে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। একই সঙ্গে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত-পাক যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতা করিয়েছেন, গোটা বিশ্বের কাছে এমনটাই দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও সেই দাবি বারবার অস্বীকার করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এই প্রসঙ্গেই জ্যাকি শালোম লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগত ও জাতীয় মর্যাদাবোধে আঘাত লেগেছিল বলেই ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এমনকী আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ফোনও ধরেননি তিনি। এর থেকে ইসরায়েলের অনেক কিছুই শেখার আছে।’
প্রসঙ্গত, বিশ্ব রাজনৈতিক মহলের একাংশ অভিযোগ করেছে, গাজা যুদ্ধ নিয়ে বরাবরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অঙ্গুলিহেলনে চলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার দাবিতেও সরব হয়েছেন তিনি। যাতে ইজরায়েলের জাতীয় মর্যাদা উপেক্ষিত হয়েছে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
ইজরায়েলের পরিস্থিতির সঙ্গে ভারতের তুলনা করে বিশেষজ্ঞ জ্যাকি শ্যালোম লিখেছেন, ‘যখন ভারত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মৌখিক আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমা চাইতে যাননি, বরং তিনি দৃঢ়ভাবে জবাব দিয়ে জাতীয় সম্মান বজায় রেখেছিলেন।’ একটি দেশকে কঠিন পরিস্থিতিতেও জাতীয় সম্মান রক্ষা করতেই হবে বলেই মনে করেন জ্যাকি শালোম। গাজা যুদ্ধে ইজরায়েল সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতি সমালোচনাও দেখা গিয়েছে তাঁর কলমে।