‘মেরে ফেলেছি, নিয়ে যান’,  স্ত্রীকে খুন করে স্যুটকেসে ভরে শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন স্বামীর!

‘মেরে ফেলেছি, নিয়ে যান’, স্ত্রীকে খুন করে স্যুটকেসে ভরে শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন স্বামীর!

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীকে খুন করে সুটকেসে দেহ ভরে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ। যদিও তাতে শেষরক্ষা হয়নি। শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন করে খুনের কথা নাকি স্বীকারও করে নেয় অভিযুক্ত। অবশেষে পুণে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মৃতার স্বামীকে।

মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা বছর বত্রিশের গৌরী অনিল সাম্বেকরের সঙ্গে রাকেশের বিয়ে হয় বেশ কয়েক বছর আগে। দুজনেই সেই সময় চাকরি করতেন। দিনকয়েক আগে চাকরি হারান গৌরী। তারপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত। অভিযোগ, ঝগড়া চলাকালীন মাঝেমধ্যে স্ত্রীকে মারধরও করত স্বামী। গত ২৬ মার্চ ঝগড়া হয় দম্পতির। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মাঝে স্ত্রীকে মারধর করে রাকেশ। এরপর একটি ধারাল ছুরি দিয়ে স্ত্রীর পেটে আঘাত করে সে। গলার নলিও কেটে দেয় বলে অভিযোগ। স্ত্রীর দেহ নিয়ে বিপাকে পড়ে রাকেশ। অভিযোগ, একটি স্যুটকেসের মধ্যে তার দেহ ঢুকিয়ে দেয় রাকেশ। এরপর শৌচালয়ে ওই স্যুটকেস রেখে বাড়ি ছাড়ে সে। পুণেতে পালিয়ে যায় রাকেশ।

এদিকে, ওইদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ পূর্ব) সারা ফতিমার কাছে খবর পান দম্পতির বাড়িতে সম্ভবত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তদন্তকারীরা দেখেন, দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। পুলিশ কারও ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়নি। তবে শৌচালয়ে একটি স্যুটকেস দেখতে পাওয়া যায়। সেটি খুলে দেখে তাজ্জব পুলিশ। ওই স্যুটকেস খুলতেই বেরিয়ে আসে তরুণী গৌরীর দেহ। শুরু হয় তাঁর স্বামী রাকেশের খোঁজ।

এদিকে, তদন্তে নেমে পুলিশ গৌরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। রাকেশ ইতিমধ্যে গৌরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কল ডিটেলস রেকর্ডের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে পুণে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। দেহ টুকরো না করেই স্যুটকেসে ঢোকানো হয়েছিল। কীভাবে স্ত্রীকে খুন করল এবং খণ্ডবিখণ্ড না করে দেহ স্যুটকেসবন্দি করল রাকেশ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ধৃতকে জেরা করে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও নানা তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *