‘মেরে দিয়েছি’, পরকীয়ায় মগ্ন স্ত্রীকে ‘খুন’ করে থানায় ফোন স্বামীর! চাঞ্চল্য বাগদায়

‘মেরে দিয়েছি’, পরকীয়ায় মগ্ন স্ত্রীকে ‘খুন’ করে থানায় ফোন স্বামীর! চাঞ্চল্য বাগদায়

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: স্ত্রীকে অন্যের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে দেখেছিল বলে অভিযোগ। স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে আছেন, সেই সন্দেহে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে ‘খুন’ করল স্বামী! শুধু তাই নয়, নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। তবে তার আগে নিজেই ফোন করে থানায় খুনের কথা জানিয়েছিল ওই ব্যক্তি। রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার কোলাগ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অর্পিতা বিশ্বাস (২৮)। ওই ব্যক্তিকে পরে পাকড়াও করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ প্রসেনজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগে অর্পিতার সঙ্গে বাগদার কোলাগ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিতের বিয়ে হয়েছিল। তাদের পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। অর্পিতা সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বানাতেন। সেই সূত্রে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় বলেও খবর। রাতের দিকে প্রায়ই অর্পিতার মোবাইলে ফোন আসত বলে অভিযোগ। স্বামী প্রসেনজিৎ সে সব পছন্দ করতেন না। অর্পিতার প্রতি ক্রমে সন্দেহও বাড়তে থাকে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তারই মধ্যে অর্পিতা মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে একা বেরিয়ে যেতেন। ফিরতেন রাত করে। এমন অভিযোগও উঠেছে। প্রসেনজিতের সন্দেহ, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি চরমে পৌঁছয়।

আজ রবিবার সকালে অর্পিতা রান্না ঘরে কাজ করছিলেন। সেসময় স্ত্রীকে ভিডিওকলে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখে প্রসেনজিৎ। সন্দেহে কুড়ুল নিয়ে এসে স্ত্রীকে কোপাতে থাকে সে। ঘটনাস্থলে মারা যান অর্পিতা। এরপর থানায় নিজেই ফোন করে স্ত্রীকে খুনের কথা জানায়। এরপর প্রসেনজিৎ গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খুনের কথা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দা সেখানে পৌঁছে যায়। তাঁরাই প্রসেনজিৎকে আটকে রাখেন। বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রসেনজিতের বৃদ্ধা মা গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত। সন্দেহের বশে যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, ভাবতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও।

 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *