‘মুসলিম হিসেবে লজ্জিত’, কোরান পড়ে ‘সচ্চা ইসলাম’ হওয়ার পাঠ দিলেন সেলিম মার্চেন্ট

‘মুসলিম হিসেবে লজ্জিত’, কোরান পড়ে ‘সচ্চা ইসলাম’ হওয়ার পাঠ দিলেন সেলিম মার্চেন্ট

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ভয়ানক সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা দেশ। ‘ধর্মের ধ্বজা’ উড়িয়ে নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের নির্বিচারে হত্যা করায় সাম্প্রদায়িক বিভাজন নীতিতে সরগরম নেটপাড়া! নাম-পদবীর জেরে রোষানলে পড়তে হচ্ছে মুসলিমদের। এমন আবহেই মুখ খুললেন বলিউডের জনপ্রিয় সুরকার সেলিম মার্চেন্ট। এক ভিডিও বার্তায় তাঁর সাফ কথা, ‘মুসলিম হিসেবে আমি লজ্জিত।’

সেলিমের মন্তব্য, “পহেলগাঁওতে নিরীহ মানুষগুলোকে মেরে ফেলা হল কারণ তাঁরা হিন্দু ছিলেন, মুসলিম নন। আচ্ছা, আমাকে বলুন, খুনিরা কি প্রকৃত মুসলিম? না ওরা সন্ত্রাসবাদী। কারণ ইসলাম ধর্ম হিংসাকে প্রশ্রয় দেয় না। এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। এরপরই কোরানের ২৫৬ নম্বর আয়াত ‘সুরাহ-আল-বখরা’র উল্লেখ করে সেলিমের সংযোজন, এই পর্বে বলা হয়েছে যে, ইসলাম কখনও ধর্ম নিয়ে জোরাজুরি করতে বলে না। এর উল্লেখ রয়েছে কোরান শরীফে। একজন মুসলিম হিসেবে, আমি লজ্জিত যে আমাদের এই দিনটি দেখতে হচ্ছে। যখন আমাদের নিরীহ হিন্দু ভাইবোনদের শুধুমাত্র তাঁদের ধর্মপরিচয়ের জন্য নির্মমভাবে খুন করা হল।” বলিউড সুরকারের প্রশ্ন, “আর কবে এই ঘৃণা থামবে?

প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার পর এত বড় সন্ত্রাসের ঘটনার সাক্ষী থাকেনি উপত্যকা! বিগত কয়েক বছরে কাশ্মীরের আবহাওয়াও মোটের উপর শান্ত ছিল। সরকার থেকে বিশেষ জোড় দেওয়া হচ্ছিল কাশ্মীর পর্যটন নিয়ে। ভিড়ও জমাচ্ছিলেন পর্যটকরা। সবে যখন উপত্যকায় শান্তি ফিরতে শুরু করেছিল, তখন ফের জঙ্গিহামলা ঘটিয়ে পালটে দেওয়া হল পরিস্থিতি। এপ্রসঙ্গে সেলিম বলছেন, “অবশেষে কাশ্মীর একটু সুস্থ হতে শুরু করেছিল। আর এরমধ্যে এসব ঘটানো হল। আমি যে কীভাবে আমার রাগ-দুঃখ ভাষায় প্রকাশ করব, সেটা জানি না। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য আমি মাথা নত করে প্রার্থনা করছি। ঈশ্বর তাঁদের পরিবারকে শক্তি দিন এই কঠিন সময়ে। ওম শান্তি।”

 
 
 
 
 
View this put up on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Salim Merchant (@salimmerchant)

পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ভয়ানক সন্ত্রাসবাদের ঘটনার এই কালো স্মৃতি হয়তো চিরকাল তাড়া করে বেড়াবে গোটা দেশকে। পুলওয়ামার পর এত বড় সন্ত্রাসের ঘটনার সাক্ষী থাকেনি উপত্যকা। ‘আগর ফিরদৌস বার রু-ই জমিন আস্ত, হামিন আস্ত-ও, হামিন আস্ত-ও, হামিন আস্ত…’, ভবিষ্যতে ভূস্বর্গে দাঁড়িয়ে হয়তো আমির খসরুর লেখা এই ফারসি পংক্তি আওড়াতে গিয়ে শিউড়ে উঠবেন পর্যটকরা! এহেন ভয়ঙ্কর ঘটনায় আমজনতার সঙ্গে ঘুম উড়েছে তারকাদেরও। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন তাঁরাও। এমন আবহেই ‘সচ্চা ইসলাম’ হওয়ার পাঠ দিলেন সেলিম মার্চেন্ট। 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *