মুখ বাঁচাতে ফের মিথ্যাচার! ‘যুদ্ধ জিতেছি’ বলে ভারতকে পালটা ‘শান্তি-বার্তা’ শরিফের

মুখ বাঁচাতে ফের মিথ্যাচার! ‘যুদ্ধ জিতেছি’ বলে ভারতকে পালটা ‘শান্তি-বার্তা’ শরিফের

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের হামলায় ছারখার দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তারপরও দেশবাসীর কাছে মুখরক্ষায় লাগামছাড়া মিথ্যাচার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের! শুক্রবার ইসলামাবাদে ‘যুদ্ধ জয়ে’র উদযাপন অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে ফের শরিফ বললেন, ”যুদ্ধ জিতেছি আমরাই। তবে স্থায়ী শান্তির জন্য একজন ভালো প্রতিবেশী দরকার। আমরা শত্রুদের যথেষ্ট কড়া জবাব দিয়েছি। আমরা বিশ্বের এই অংশে শান্তি চাই। সেটা সম্ভব তখনই যখন প্রতিবেশীরা ভালো হয়।” কাশ্মীর সমস্যা ও সিন্ধু জলচুক্তি নিয়েও নান মন্তব্য করেছেন শরিফ। এ তো উলটে ভারতকেই শান্তির বার্তা পাকিস্তানের! শরিফের ভাষণ শুনে হাসছেন বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে কটাক্ষ, কে কাকে দিচ্ছে শান্তির পাঠ?

শুক্রবার ইসলামাবাদে ‘ইউম-ই-তাশাকুর’ বা ধন্যবাদজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের ডাক দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত হন সে দেশের সেনাবাহিনীর প্রধানরা। ছিলেন সামরিক কর্তা ও অন্যান্য বাহিনীর সকলে। কোরানের একটি অংশ পাঠ করে, কুচকাওয়াজ ও জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আসলে ভারতের অপারেশন সিঁদুরে নাস্তানাবুদ হওয়া পাকিস্তান মোটেই নিজেদের হতশ্রী দশা মেনে নিতে চায় না। উলটে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে নিজেদের জয় হিসেবেই বারবার মুখে তুলে ধরেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তা আরও বেশি করে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ধন্যবাদজ্ঞাপন অনুষ্ঠান, তা আসলে ঢক্কানিনাদ ছাড়া কিছুই নয়। দেশবাসীর কাছ থেকে বাস্তব ছবি অস্পষ্ট রাখার একটা আড়ালও বটে!

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’ অনুষ্ঠানের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। সেই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিনের ভাষণে শরিফ বলেছেন, ”ভারত যা করেছিল, তার সঙ্গে কড়া টক্কর দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী। যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। এভাবেই সেনা আমাদের রক্ষা করবে। গোটা দেশ, পেশোয়ার থেকে করাচি, সবাই সেনার সঙ্গে আছে। তাঁরা সফল হবেনই। আমি সেনাবাহিনীর সকলকে এই সাফল্যের জন্য কুর্নিশ জানাই।” এরপরই পাক প্রধানমন্ত্রীর জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। বলেন, ”এই সংঘর্ষ থেকে আমরা যা বুঝেছি, তা হল প্রতিবেশীর সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে জম্মু-কাশ্মীর সহ একাধিক বিষয় সমাধান করতে হবে। তা নইলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। স্থায়ী শান্তি তখনই আসবে, যখন জম্মু-কাশ্মীর আর জলচুক্তি নিয়ে স্থায়ী সমাধান আমরা পাব। হ্যাঁ, আমরা অবশ্যই বাণিজ্য, সীমান্ত সমন্বয় বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতেই পারি। সন্ত্রাস দমন নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তবে কাশ্মীর ও সিন্ধুর জল আমাদের প্রাথমিক দাবি।”

দু’দেশের মধ্যে সংঘাতের আবহে আমেরিকার তরফে যখন উভয় পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখনই নয়াদিল্লির কড়া জবাব ছিল, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও সন্ত্রাসদমন ছাড়া আলোচনা হবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদিও একাধিকবার বলেছেন, ”আলোচনা আর সন্ত্রাস একসঙ্গে হতে পারে না, রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না। সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিলে পাকিস্তানও তার শিকার হবে একদিন। তাই সন্ত্রাস বিরোধিতায় সদর্থক পদক্ষেপ নিক পাকিস্তান।” শুক্রবার নিজের ভাষণে মিথ্যার উপর মিথ্যা চাপিয়ে হয়ত শরিফ তারই জবাব দিলেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *