সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তির দূত ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। এ যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আরও একবার তিনি যেন সেই শান্তির পথের সূচনা করে দিয়ে গেলেন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধের মাঝে হোয়াইট হাউসে গিয়ে ঘাড়ধাক্কা খেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। দীর্ঘদিন পর পোপের প্রয়াণে ভ্যাটিকানে মুখোমুখি হলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁদের এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শান্তির পথ খুঁজতে আরও একটি বৈঠকের জন্য সম্মত হয়েছেন দুই জন।
হোয়াইট হাউসের তরফে জানা গিয়েছে, ‘শনিবার পোপের শেষকৃত্য শুরু হওয়ায় আগে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় একান্তে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিদেন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। দুজনের ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। বৈঠক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’ সোশাল মিডিয়ায় সেই বৈঠকের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রাচীন কারুকার্য করা মেঝের উপর দু’টি লাল রঙা চেয়ারে মুখোমুখি বসে কথা বলছেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। বৈঠক প্রসঙ্গে জেলেনস্কি জানান, ‘একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আশা করছি আমার দেশের মানুষকে রক্ষা করতে পারব। ভরসাযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি আর একটা যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করবে।’ ঠিক কী বিষয়ে দুজনের আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্টভাবে না জানালেও বুঝতে অসুবিধা হয় না ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসের অধীশ্বর হওয়ার পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ট্রাম্প। এই ইস্যুতে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে জেলেনস্কিকে তলব করা হয়। সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার জেরে না খেয়েই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। তার পর নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে আমেরিকা-ইউক্রেন সম্পর্ক। সেই ঘটনার পর এবার ভ্যাটিকানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই বৈঠক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।