সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও সন্ত্রাসের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)-র হাতে এল বিস্ফোরক তথ্য। এই সন্ত্রাসের মাস্টারমাইন্ড ছিল লস্কর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তান-মালয়েশিয়া থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছিল টিআরএফকে। শ্রীনগরের এক ব্যক্তির মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য জানতে পেরেছে এনআইএ। মালয়েশিয়া থেকে যে ব্যক্তি টাকা পাঠিয়েছিল তার সম্পর্কেও সমস্ত তথ্য জানতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, এই সমস্ত যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ আন্তর্জাতিক স্তরে পেশও করবে ভারত।
এনআইএর তরফে জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের ওই ব্যক্তির ফোন ঘেঁটে ৪৬৩টি ফোনকল হাতে আসে তদন্তকারীদের। সেখান থেকেই জানা যায়, একাধিক দেশ থেকে অর্থসাহায্য করা হয় টিআরএফকে। এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান। মালয়েশিয়া থাকা জঙ্গি সাজ্জাদ আহমেদ মিরের নামে এক অভিযুক্তের নাম সামনে এসেছে। এছাড়া সন্দেহভাজনের তালিকায় ইয়াসির হায়াত নামে আর এক অভিযুক্ত। টিআরএফের জন্য তহবিল আদায় করতে একাধিক মালয়েশিয়া যায় হায়াত। মিরের সহায়তায় জঙ্গি সংগঠনের জন্য ৯ লক্ষ টাকা জোগাড় করে সে। সংগঠনের আর এক কর্মী শাফাত ওয়ানিকে দেওয়া হয় এই টাকা।
এনআইএ তদন্তে জানা গিয়েছে, এই হায়াতের যোগাযোগ শুধু মিরের সঙ্গে ছিল না, দুই পাক নাগরিকের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তার। টিআরএফের এই শীর্ষ নেতার কাজ ছিল মূলত বিদেশে থাকা জঙ্গি সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা। গত ১৩ আগস্ট এনআইএ জানিয়েছিল টিআরএফের বিদেশি তহবিলের এক যোগসূত্র তাদের হাতে এসেছে। এবার প্রকাশ্যে এল সেই বিদেশি অর্থের যাবতীয় তথ্য।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর দায় নিয়েছিল টিআরএফ। পরে আবার নিজেদের বক্তব্য বদলে নতুন বিবৃতি প্রকাশ করে তারা। যেখানে টিআরএফ জানায়, পহেলগাঁও কাণ্ডে তাদের কোনও যোগ নেই। তবে টিআরএফ বক্তব্য বদল করলেও ভার দাবি করে পাকিস্তানের চাপেই হামলার কথা অস্বীকার করেছে টিআরএফ। এমনকী রাষ্ট্রসংঘে এই টিআরএফকে ভারত আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার চেষ্টা করলে এর বিরোধিতায় সরব হয় পাকিস্তান।