শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মালদহে স্কুলের শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় ৯ কীর্তিমান পড়ুয়াকে চিহ্নিত করেছে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদ। তাদের সকলের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শোকজও করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাসংসদ সভাপতি চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য।
এদিন উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ার সার্কিটের সাতটি স্কুল পরিদর্শন করেন চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য। তারপর সাংবাদিক সম্মেলন করে কড়া শাস্তির কথা জানান তিনি। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের পাশাপাশি দুই স্কুলকেও কঠিন সাজার মুখে পড়তে হচ্ছে। চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মালদহের কালিয়াচক ৩ ব্লকের চামাগ্রাম হাই স্কুলে শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় জড়িত কামরিটোলা হাই মাদ্রাসার ৯ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে। সেইসঙ্গে দুই স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের শোকজ করা হচ্ছে। তবে আপাতত পরীক্ষা দিতে পারবে বাকি পড়ুয়ারা। কিন্তু যদি দেখা যায়, তাদের মধ্যে আরও কেউ শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় যুক্ত, তাহলে তাদেরও পরীক্ষা বাতিল করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাসংসদ সভাপতি আরও জানান, এবছরও যদিও পরীক্ষার শেষদিনে পড়ুয়ারা যদি পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর করে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে স্কুলকে। পরীক্ষার্থীদের স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দেওয়া হবে। সেই স্কুলের থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। যেমনটা গতবছর মালদহের স্কুলের সঙ্গে করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষায় বসার আগে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালানোর অভিযোগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে আক্রান্ত হন বৈষ্ণবনগরের চামাগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষকরা। হামলায় ওই স্কুলের মোট ছয়জন শিক্ষক জখম হয়েছেন। সব থেকে বড় কথা, এই ঘটনা যখন চলছে, সেসময় খোদ রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জেলাতেই উপস্থিত ছিলেন। তখনই তিনি কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন। এবার তা বাস্তবায়ন করলেন।