সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে থাকতে হলে বাধ্যতামূলক মারাঠি ভাষা জানা। এই দাবি তুলে গত কয়েকদিন ধরে সেরাজ্যের নানা এলাকায় চলছে নির্যাতন। মারাঠি না বলার ‘অপরাধে’ এবার একদল দোকানিকে কান ধরে ক্ষমা চাওয়ানোর অভিযোগ উঠল শিব সেনার (উদ্ধব) প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের একাধিক রাজনৈতিক নেতা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সেরাজ্যে থাকতে গেলে মারাঠি ভাষা শিখতেই হবে।
ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। কিরণ তানাজি সাওয়ান্ত নামে এক ব্যক্তি ঠানের দোকান থেকে মোবাইলে রিচার্জ করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে রিচার্জ সম্পন্ন হয়নি। তার জেরে রেগে গিয়ে দোকানে রাগারাগি শুরু করেন কিরণ। ফলস্বরূপ দোকানের কর্মীদের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি বেঁধে যায়। ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন কিরণ। পুলিশ চারজনকে আটক করলেও পরে নোটিস দিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেয়।
চার অভিযুক্ত মুক্তি পাওয়ার পরেই আসরে নামেন প্রাক্তন সাংসদ রজন বিছারে। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঘটনায় যুক্ত চারজন দোকানিকে ডেকে ঘটনার বর্ণনা জিজ্ঞাসা করছেন রজন। কিন্তু মাঝপথেই রজনের এক সঙ্গী দোকানিদের থামিয়ে বলেন, “মারাঠি ভাষায় কথা বল। মারাঠিকে মেরেছিস তো, মারাঠিতে সেটা বল।”
তারপরেই ভিডিওতে দেখা যায় কিরণকে। দোকানিদের সকলকে একে একে তাঁর সামনে নিয়ে আসা হয়। হাতজোড় করে কিরণের কাছে ক্ষমা চান তাঁরা। পায়ে ধরতেও দেখা যায় তাঁদের। কিন্তু পালটা ওই দোকানিদের চড় মারেন কিরণ। তারপর কান ধরে ওঠবোস করানো হয় দোকানিদের। ক্যামেরার সামনে ওঠবোস করতে করতে তাঁরা বলেন, এমন ভুল আর কখনও হবে না।
এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল বিতর্ক বেঁধেছে। দিনকয়েক আগে মহা নির্মাণ সেনার কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে এক মিষ্টির দোকানে হামলার অভিযোগ উঠেছিল কারণ ওই দোকানের কর্মীরা মারাঠাভাষী নন। আদিত্য ঠাকরের মতো একাধিক রাজনৈতিক নেতাও সওয়াল করেছেন, মহারাষ্ট্রে থাকতে গেলে মারাঠি শিখতে হবে, মারাঠি ভাষাকে সম্মান করতে হবে। কিন্তু কাউকে কি মারাঠি শিখতে বাধ্য করা যায়? মারাঠি বলতে না পারলে এভাবে হেনস্তা করা যায়? উঠছে প্রশ্ন।