সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির মান্ডলি জেলে আত্মঘাতী হলেন সাজাপ্রাপ্ত গ্যাংস্টার সলমন ত্যাগী। জেল প্রশাসন জানিয়েছে, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ১৫ নম্বর সেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিছানার চাদরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ত্যাগী। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দিল্লি-এনসিআর এলাকার অন্যতম কুখ্যাত দুষ্কৃতী ছিলেন ত্যাগী। আগে নীরজ বাওয়ানা গ্যাং-এর সদস্য হলেও পরে লরেন্স বিষ্ণোই-এর দলে যোগ দেন। ত্যাগীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট (এমসিওসিএ)-এ মামলা ছিল। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে অন্যান্য একাধিক খুন, তোলাবাজি এবং অস্ত্র আইনে মামলা ছিল। জেলের মধ্যে তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেও অপরাধ চালিয়ে গিয়েছে, ত্যাগী। গত বছর ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দিল্লির দুই ব্যবসায়ীকে হত্যার নির্দেশ দেন এই গ্যাংস্টার। দুই শুটারকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং-এ নিজের জায়গা শক্ত করতেই এই কাজ করেন ত্যাগী। জেলবন্দি অপরাধীর এই হঠাৎ মৃত্যু বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই মৃত্যু আসলেই আত্মহত্যা নাকি দুই দলের লড়াইয়ের জেরে তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে উঠছে সেই প্রশ্নও। দিল্লি পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
মান্ডলি জেল উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে অবস্থিত। এটি রাজধানীর অন্যতম উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন জেলগুলির মধ্যে একটি। ২০১৬ সালে তিহাড় জেলের ভিড় কমাতে এই জেল তৈরি হয়। এখানে ছয়টি ওয়ার্ড আছে। বহু ভয়ঙ্কর অপরাধী এখানে বন্দী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই জেল কুখ্যাত গ্যাংস্টার, এবং হোয়াইট-কলার অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। এই জেল বিশেষ আলোচনায় আসে যখন এখানে বন্দী হন হাই প্রোফাইল প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখর। ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং ও তোলাবাজির মামলায় অভিযুক্ত তিনি। ত্যাগীর মৃত্যু আবারও দিল্লির জেলগুলিতে নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।