মাধ্যমিকের শেষ দিনে বই ছিঁড়ে বেনজির উদযাপন জটেশ্বরের পরীক্ষার্থীদের! স্তম্ভিত প্রত্যক্ষদর্শীরা

মাধ্যমিকের শেষ দিনে বই ছিঁড়ে বেনজির উদযাপন জটেশ্বরের পরীক্ষার্থীদের! স্তম্ভিত প্রত্যক্ষদর্শীরা

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


তমাল চক্রবর্তী, ফালাকাটা: শেষ হয়েছে পরীক্ষা। যদিও ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা এখনও বাকি। কিন্তু মূল পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে বেনজির উদযাপনের ছবি ধরা পড়ল ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর বাজার এলাকায়। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষে জটেশ্বর উচ্চবিদ্যালয় ও জটেশ্বর গার্লস হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসে পড়ুয়ারা। অভিযোগ, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজেদের সঙ্গে থাকা বই-খাতা কুটি কুটি করে ছিঁড়ে তারা ঢেকে ফেলে জটেশ্বরের মধ্য দিয়ে যাওয়া ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক।

এলাকার অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এমন ঘটনায়। নিজেদের পাঠ্যপুস্তক বা খাতা ছিঁড়ে ফেলে আনন্দ উদযাপনের বিষয়টি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কিন্তু আশপাশে যাঁরা ছিলেন তাঁরা কেন প্রতিবাদ করলেন না? উঠছে প্রশ্ন। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময় পরীক্ষার্থীদের মেজাজ এমনই ছিল যে সব দেখেশুনেও কেউ আর প্রতিবাদের পথে হাঁটতে পারেননি।

এক স্থানীয় বাসিন্দা ঝর্ণা কন্ঠ বলছেন, “নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কেবল ভাবছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ওই অবনমনও দেখতে হল! এই লজ্জা কোথায় রাখি?” এদিকে আলিপুরদুয়ার এক নম্বর ব্লকের ঠাকুর পঞ্চানন উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক জয়ন্ত সরকার এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, “এই সামাজিক অবক্ষয় কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্রসমাজের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। নইলে ভবিষ্যতে সমাজে তার কুপ্রভাব এড়ানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।”

উল্লেখ্য, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ ফেব্রুয়ারি। এদিন যা শেষ হল ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে। যদিও এখনও বাকি ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা। যা হওয়ার কথা ২২ ফেব্রুয়ারি। ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা সম্পর্কে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই জানিয়েছে, প্রশ্ন বেশ সহজ হয়েছে। শিক্ষকদের অনেকেও তেমনই দাবি করছেন। সন্তোষজনক পরীক্ষা হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই পরীক্ষাশেষে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের হাসিমুখে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু জটেশ্বরে যা ঘটল তা নজিরবিহীন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *