সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৪০ দিনে ৫ বার! চারধামের পথে হেলিকপ্টার যাত্রা যেন আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছে। রবিবার কেদারনাথ থেকে গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে আরিয়ান এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার গৌরীকুণ্ডের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। কপ্টারে থাকা সাতজনেরই মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই বারবার স্মৃতিতে ভেসে আসছে চারধাম যাত্রায় লাগাতার দুর্ঘটনার ছবি।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোর ৫ টা ২০ নাগাদ ৬ জন যাত্রীকে নিয়ে টেক অফ করে হেলিকপ্টারটি। যাঁদের মধ্যে ৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন শিশু ছিল। যাত্রীরা উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। মাঝআকাশে খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। গৌরীকুণ্ড এবং সোনপ্রয়াগের মাঝে একটি জঙ্গলে কপ্টারটি ভেঙে পড়ে। সেখানে থাকা সাতজনেরই মৃত্যু হয়। আপাতত দু’দিনের জন্য কপ্টার পরিষেবা বন্ধ রাখবে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।
মর্মান্তিক ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে, এই হেলিকপ্টার যাত্রা কি আদৌ সুরক্ষিত? কারণ ২ মে থেকে কেদারনাথের দরজা পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার পর এই নিয়ে পঞ্চমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তীর্থযাত্রী বোঝাই হেলিকপ্টার। গত ৭ জুন একটি বেসরকারি কপ্টার টেক অফের পরেই ভেঙে পড়ে। পাঁচজন যাত্রী ছিলেন ওই কপ্টারে। তবে দুর্ঘটনার জেরে কপ্টারের কিছুটা অংশ ভেঙে গেলেও যাত্রীরা অক্ষত ছিলেন।
তার আগে মে মাসে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে তিনবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চারধাম রুটের হেলিকপ্টার। গত ৮ মে গঙ্গোত্রীগামী একটি কপ্টার ভেঙে পড়ে ৬জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন এক যাত্রী। চারদিন পরে একটি কপ্টারের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। তবে শেষ পর্যন্ত নিরাপদে নামানো হয় কপ্টারটিকে। এই ঘটনার পাঁচদিন পর অর্থাৎ ১৭ মে ঋষিকেশ এইমসের এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভেঙে পড়ে হেলিপ্যাডের কাছে। তবে কেউ হতাহত হননি এই ঘটনায়। পাহাড়ি এলাকায় কপ্টার চালানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। তা সত্ত্বেও কেন এই অঞ্চলে বারবার কপ্টার পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? উত্তর অধরাই।