সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে ফের বড়সড় সাফল্য। ছত্তিশগড়ের নারায়ণগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ২ মাওবাদী নেত্রী। পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক।
জানা গিয়েছে, বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভুজমাদ এলাকার বালাঘাট জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা। খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন মাওবাদী। সেইমতো এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে রীতিমতো কোণঠাসা হয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। বেশ কিছুক্ষণ দু’পক্ষের গুলির লড়াই চলার পর অবশেষে মৃত্যু হয় দুই মাও নেত্রীর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও সেখানে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে। অভিযানে ইতিমধ্যেই খতম করা হয়েছে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে, যার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা। এছাড়া নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকরের।