সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাওবাদী দমনে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে নামানো হল ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)। বলা বহুল্য, মাওবাদীদের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি হল এই গড়চিরোলি। তবে এর আগে কোনওদিনই সেখানে অভিযান চালাননি এনএসজির কমান্ডোরা। ‘লাল সন্ত্রাসকে’ সমূলে উৎপাটিত করতে এবার দেশের অন্যতম শক্তিশালী নিরাপত্তাবাহিনীকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলায় অস্ত্রসস্ত্র সমেত আত্মসমর্পণ করেন ১২ জন মাওবাদী নেতা। সব মিলিয়ে তাদের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসই খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসতে চায়। লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এটি বড়সড় সাফল্য। এই রাজ্যে এখন খুব কম সংখ্যক মাওবাদী অবশিষ্ট রয়েছে। আমি তাদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি তারা আত্মসমর্পণ না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে”
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে। অভিযানে ইতিমধ্যেই খতম করা হয়েছে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে, যার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকরের।