রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: মহেশতলা কাণ্ডের ছায়া এবার কৃষ্ণনগরে। মোবাইল চোর সন্দেহে যুবককে বেঁধে বেধড়ক মার স্থানীয়দের! ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। খবর পেয়ে আক্রান্তকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে আটক করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগরের পাঁচমাথা মোড়ের বাসিন্দা সৌরজিৎ বিশ্বাস। তাঁর বাড়িতে কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। তারা চা খাওয়ার জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আক্রান্ত যুবক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। শ্রমিকদের মোবাইল চুরি করে নাকি পালানোর চেষ্টা করে সে। সেই সময় বাড়ির মালিকের ছেলে অচেনা লোককে দেখে তাকে ধরে ফেলে। সেই সময় কোনওরকমে পালানোর চেষ্টা করে সে। এরপরই চিৎকার-চেঁচামেচিতে লোকজন জড়ো হয়ে যান। অভিযুক্তকে রাস্তার ধারের একটি পিলারের সঙ্গে বেঁধে চলে বেধড়ক মার। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে।
নির্মাণ শ্রমিক বাবু বিশ্বাসের কথায়, “আমরা তিনতলার উপরে মোবাইল-সহ কাজের সরঞ্জামগুলো রেখে নিচে চা খেতে নিচে আসি। সেই সময় বাড়ির মালিকের ছেলে সকালে ব্রাশ করতে করতে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তিকে দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলে। ওর কাছ থেকে আমাদের দুটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে।” মহেশতলায় মোবাইল চোর সন্দেহেই নাবালকের সঙ্গে ঘটেছে নারকীয় ঘটনা। তারপর আবারও পুলিশের তরফে আমজনতাকে আইন হাতে না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে মানবিকতা।