মহিলা পুলিশদের জোর করে সিঁদুরদানের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু

মহিলা পুলিশদের জোর করে সিঁদুরদানের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সুমন করাতি, হুগলি: জোর করে মহিলা পুলিশ কর্মীদের সিঁদুর পরিয়েছিলেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। হুগলির চুঁচুড়ার পিপিুলপাঁতি মোড়ে গতকাল, শনিবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মামলা রুজু করল। এলাকার বিজেপি নেতাকেও সেই মামলায় যোগ করা হয়েছে বলে খবর।

বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। সেদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক ইস্যুতে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর সেই ঘটনার পর থেকে বিজেপি তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের দাবি, দেশের বিবাহিত মহিলাদের সিঁদুরের অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার চুঁচুড়ার পিপিুলপাঁতি পাঁচমাথা মোড়ে বিজেপি মহিলা কর্মীরা প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন। সেই অবরোধ তুলতে গিয়েছিল পুলিশ। মহিলা পুলিশ কর্মীরা তাঁদের তুলতে গেলে একপ্রকার জোর করে তাঁদের সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কীভাবে এমন ঘটনা সম্ভব? সেই প্রশ্ন ওঠে। ঘটনার তদন্ত হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল।

আজ শনিবার জানা যায়, চুঁচুড়ার বিজেপি মহিলা কর্মীদের নামে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ছ’জনের বাড়িতে ওই নোটিশ এসেছে বলে খবর। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ গতকাল ওই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে খবর। সেজন্য তাঁকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিজেপি কর্মীর খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। 

তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ছেলেখেলা করছে চুঁচুড়ার ঘটনা তার প্রমাণ। হিন্দুধর্মে সিঁদুরকে পবিত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। একজন কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কর্মীকে জোর করে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “কোনও পুলিশ কর্মীকে জোর করে সিঁদুর পরানো হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় সিঁদুর পরেছিলেন।” 

 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *