মহিলার হাত থেকে ছোঁ মেরে নিয়েছিল মোবাইল ফোন, কাজ হল ‘হনু’কে অনুরোধে!

মহিলার হাত থেকে ছোঁ মেরে নিয়েছিল মোবাইল ফোন, কাজ হল ‘হনু’কে অনুরোধে!

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘বাঁদরামি’র বহু নিদর্শন দেখা যায় চারপেয়েদের। তবে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় শনিবার বিকেলে হনুমান যা করল, তাকে তার প্রশংসাই প্রাপ্য। মহিলার হাত থেকে ছোঁ মেরে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার পর যত্নেই রেখেছিল সে। তবু ফিরে পাওয়ার আশা ছিল ক্ষীণণ। তবে অনুরোধ-উপরোধে আর কুল, কলা খাইয়ে দিব্যি তার মন গলানো গেল! মোবাইলটি ফিরিয়ে দিল হনুমান। এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে অবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। সকলেই বলছেন, বাঁদরামি বিশেষ করেনি চারপেয়ে।

শনিবার তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। গুসকরা বাসস্ট্যান্ডে বিপরীতে পরপর কয়েকটি দোকান। ফাস্ট ফুড, হোটেল, চায়ের দোকানে তার অবাধ যাতায়াত। শনিবারও হোটেলের সামনে পাওনা বুঝে নিতে গিয়েছিলেন ‘তিনি’। হোটেলের মালকিন তাকে খেতেও দিলেন। হোটেল কর্মী গৃহবধূ সোনালি চক্রবর্তী জল খাওয়ালেন। নিজের স্মার্টফোন থেকে হনুমানের ছবিও তুললেন। আর তারপরই অকস্মাৎ সেই ঘটনা! সোনালিদেবীর হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছোঁ মেরে কেড়ে চলে যায় হনুমান। তবে নাগালের বাইরে যায়নি সে, কাছাকাছিই বসেছিল।

মোবাইল এভাবে চোখের সামনে খোয়াতে দেখে সোনালিদেবী প্রথমে মনখারাপ করেছিলেনব। তবেই পরক্ষণেই মাথায় আসে কৌশল। ‘হনু’র কাছে গিয়ে সকলে ‘বাবা-বাছা’ করতে থাকেন। সোনালিদেবী তো পায়ে ধরে একপ্রকার নাকখতই দিলেন! মোবাইল আদায় করতে কালঘাম ছুটে যায় সকলের। শেষে প্রায় আধঘন্টা পর হনু নিজেই একটি দোকানের চালে মোবাইলটি রেখে পগারপার! তাতেই নিজের স্মার্টফোন ফিরে পান সোনালিদেবী। আর গোটা দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করে রাখেন কয়েকজন।

এহেন অভিজ্ঞতার পর সোনালিদেবী বলছেন, “আমাদের হোটেলে প্রায়ই আসে হনুমানগুলো। আজ আসার পর কাকিমা খেতে দিলেন। আমি জল খাওয়ালাম। একটা ছবি তুললাম। এরপর আমাকে আদর করতে করতে মোবাইল ফোনটা কেড়ে নিয়ে চলে গেল।” তিনি প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পিছুপিছু এসে মোবাইল ফোনটি ফেরত পাওয়ার জন্য হনুমানের কাছে সাধাসাধি করেন। ওদিকে চায়ের দোকানদার পাঞ্জাব শেখ কখনও কলা, কখনও কুল, বিস্কুট – এসব খাবার নিয়ে আসেন। কিন্তু কিছুতেই মোবাইল ফোন ফেরত দিতে চায় না হনুমান। প্রায় আধঘন্টা পর হনুমানটি একটি দোকানের চালে মোবাইল ফোনটি রেখে চলে যায়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন সবাই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *