সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ রাজ্যগুলি হিন্দির আগ্রাসন নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রেও একই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এই আবহে রাজ্যের স্কুলগুলিতে হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল মহারাষ্ট্র সরকার। এই সঙ্গে ভাষা নীতি প্রণয়নে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথাও জানানো হল। রবিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর উভয় সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে তিনটি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে। এও বলা আছে যে, কোনও রাজ্যের উপরে কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এরপরেও মহারাষ্ট্রের মরাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দিকে বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাজ্যের গেরুয়া সরকার। এভাবে হিন্দিকে ভাষাকে ‘চাপিয়ে দেওয়া’ নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। মারাঠি সংস্কৃতি ও ভাষাকে অপমান করা হচ্ছে বলে আওয়াজ তোলেন বিরোধীরা। এই অবস্থায় পিছু হঠল দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সরকার। গত সপ্তাহে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রাজ্য সরকার। রবিবার তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মরাঠি এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত কেবল মারাঠি এবং ইংরেজি পড়ানো হয়। দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের সরকারের সংশোধিত সিদ্ধান্তে আগের শিক্ষা নীতিই বহাল থাকল। এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানান, নরেন্দ্র যাদবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি ভাষানীতি বাস্তবায়ন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজ্য সরকার তিন-ভাষা নীতি বাস্তবায়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এদিন ফড়ণবিস স্পষ্ট করেন, “১৬ এপ্রিল এবং ১৭ জুনের জারি করা দু’টি সরকারি নির্দেশিকাই বাতিল করা হচ্ছে।”