সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঙ্গমের দূষিত জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া। মোদি সরকারের তরফেই রিপোর্ট পেশ করে এমন দাবি করা হয়েছে। রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কতটা বিপজ্জনক এই ব্যাকটেরিয়া? স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এই জল?
রিপোর্টে বলা হয়েছে, নদীর জলে মলমূত্রের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। যা জলে জৈব পদার্থ মিশিয়ে দিচ্ছে। ফলে জলের অক্সিজেনের ক্ষয় হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি ওখানকার নদীর জল পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিম্যান্ড (বিওডি)-এর নিরিখে ওই জল স্নানের অনুপযুক্ত। পাশাপাশি ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার ব্যাপক উপস্থিতির দিক থেকেও এই জল স্নানের উপযুক্ত নয়।
কতটা বিপজ্জনক এই কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া? এমনিতে এই আদ্যপ্রাণী মানবশরীরে সরাসরি অসুস্থতার সৃষ্টি করে না। এটি জলের নমুনায় ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা প্রোটোজোয়ার মতো মল থেকে উৎপন্ন রোগজীবাণুর উপস্থিতি নির্দেশ করে। নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারনাল মেডিসিনের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক ড. অতুল কাকর বলছেন, ”স্যানিটাইজেশন পর্যাপ্ত নয়। এবং আমাদের মল থেকে ব্যাকটেরিয়া জলে প্রবেশ করছে। অতএব, এটি খাওয়ার জন্য এমনকি স্নানের জন্যও নিরাপদ নয়। আর যখনই জল দূষিত হয়ে যায়, তখনই এটি বিভিন্ন জলবাহিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে চর্মরোগ, ডায়রিয়া, বমি, টাইফয়েড এবং কলেরার মতো রোগ।”
গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই রিপোর্ট পেশ করা হয় কেন্দ্রের তরফে। এর ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে তলব করার পাশাপাশি প্রশাসন দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে পরিবেশ আদালতের তরফে।