হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: মহাকুম্ভের সাফল্য নিয়ে সঠিক তথ্য প্রচার। সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। বৃহস্পতিবার প্রয়াগরাজ পরিদর্শনের মাঝে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন যোগী।
যোগী আরও বলেন, “গঙ্গা যেমন অবিরাম বয়ে চলেছে, ঠিক তেমনই দিন, রাত, শীত, গ্রীষ্ম – অবিরাম কাজ করে সংবাদমাধ্যম। যদি এভাবেই গঙ্গা বইতে থাকে এবং সংবাদমাধ্যম কাজ করতে থাকে তবে মহাকুম্ভ নতুন রেকর্ড গড়বে।” এদিন মহাকুম্ভ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। ওই তথ্যচিত্রের একটি অংশে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখানো পথই যেন বাস্তবায়িত হয়েছে। গত বছর ৬৫ কোটি পুণ্যার্থী উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে পা রাখেন। চলতি বছর গত ৪৫ দিনে শুধুমাত্র প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে ৬৬ কোটি ৩০ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন। যা রেকর্ড সংখ্যক। এছাড়া ৭৪টি দেশের অ্যাম্বাসাডর এবং হাই কমিশনার মহাকুম্ভে অংশ নেন। ১২টি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নেন।
প্রয়াগরাজ থেকে পাঁচটি আধ্যাত্মিক পর্যটনের পথ খুলেছে। সেগুলি হল – প্রয়াগরাজ থেকে মির্জাপুর এবং কাশী, প্রয়াগরাজ থেকে অযোধ্যা এবং গোরক্ষপুর, প্রয়াগরাজ থেকে লালপুর, রাজপুর ও চিত্রকূট, প্রয়াগরাজ থেকে লখনউ ও নইমিশরণ্য এবং প্রয়াগরাজ থেকে মথুরা-বৃন্দাবন ভায়া বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আগ্রা। যোগীর দাবি, মহাকুম্ভের আগে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে কমপক্ষে ২০০টি রাস্তা, ১৪ উড়ালপুল, ৯টি আন্ডারপাস, ১২টি করিডর তৈরি করা হয়েছে। অক্ষয় ভাট, মা সরস্বতী কূপ, পাতালপুরী, বড়ে হনুমানজি, মহাঋষি ভরদ্বাজ, নাগবাসুকী, শ্রীংভারপুর, দ্বাদশ মাধব-সহ ১২ ধরনের করিডর মন ছুঁয়েছে পুণ্যার্থীদের। আঁটসাঁট নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করা হয়েছিল। লক্ষাধিক পুলিশ আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। এআই প্রযুক্তির সাহায্যে ৩ হাজার সিসি ক্যামেরার সাহায্যে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন