বিধান নস্কর, দমদম: ফের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নিশানায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। ছাত্রকে সেন্সর প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এবার ধরে ধরে ছাত্রকে সেন্সর করা হচ্ছে।” শান্তাকে বিঁধে এরপরই তিনি বলেন, “ময়ূরপুচ্ছ লাগালেও কাক কাকই থাকে। ছাত্ররা কাকের ঠোক্কর খাচ্ছে।”
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পরীক্ষা স্থগিত রাখা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল ঐতিহ্যবাহী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার ভারপ্রা্প্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত সাফ জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা হবে। এরপরই আক্রমণের পথে হেঁটেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী। উপাচার্যকে কটূক্তি করেন তিনি। তাঁর শাস্তিস্বরূপ অভিরূপকে পাঁচবছরের জন্য সেন্সর করে বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তা দত্ত বলেছিলেন, “অত্যন্ত খারাপ ভাষা, উপাচার্য এবং তাঁর চেয়ার, দুটোকেই আপমান করেছে।”
এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী এটা করা যায় কি না জানি না। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এটা করা যায় কি? অল ইন্ডিয়া ব়্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তলানিতে। বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করে দিয়েছে। ছাত্রদের এভাবে টার্গেট করা, এটা ছাত্র সমাজের জন্য কলঙ্ক।” ব্রাত্য বসু আগেও এই প্রসঙ্গে আক্রমণ করেছিলেন শান্তা দত্তকে। ছাত্রদের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “যদি কোনও ছাত্রের কেরিয়ার নষ্ট হয়, আমরা সর্বতোভাবে তাঁর পাশে আছি। নতুন যে উপাচার্য আসবেন আমরা তাঁকে অনুরোধ করব যে, এই নিয়ম প্রত্যাহার করা হোক।”