সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’মাস রাজভবনে ঝুলে থাকার পর এবার রাষ্ট্রপতির দরবারে কর্নাটকের বিতর্কিত ‘হিন্দু রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এন্ডোমেন্ট বিল’। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সায় দিলেই তথাকথিত হিন্দু বিরোধী ওই বিলটি আইনে পরিণত হবে। সেটা হলে কর্নাটকের ধনী মন্দিরগুলিকে কর দিতে হবে। বিজেপি ইতিমধ্যেই এই বিলকে হিন্দু বিরোধী বলে দাবি করেছে।
মার্চ মাসে কর্নাটক বিধানসভায় পাশ হয়েছে ওই ‘হিন্দু রিলিজিয়াস ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড চ্যারিটেবল এন্ডোমেন্ট বিল’। ওই বিলটিতে বলা হয়েছে, যে সব মন্দিরে বছরে আয় ১০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা, সেই মন্দিরের উপর ৫ শতাংশ কর বসানো হবে। যে সব মন্দিরের আয় বছরে কোটি টাকা বা তারও বেশি, তাদের ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। যদিও ওই করের টাকা সরকার নেবে না। বরং ‘ধর্মীয় পরিষদে’র কাজেই ব্যবহার করা হবে। ওই টাকায় ছোট ছোট মন্দির সংস্কার করা হবে এবং গরিব পুরোহিতদের সাহায্য করা হবে।
বিলটি পাশ হয়ে রাজভবনে যাওয়ার পরও তাতে সায় দেননি রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট। কিন্তু সদ্যই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি আইনসভায় পাশ হওয়া বিল অনন্তকাল আটকে রাখতে পারবে না। সম্ভবত সেকারণেই বিলটি তড়িঘড়ি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দায় ঠেললেন রাজ্যপাল। এবার রাষ্ট্রপতিকে ওই সুপ্রিম রায়েই আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিলটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বিলটিতে সায় দিলে কর্নাটকে মন্দিরের আয়ে কর চালু হয়ে যাবে।