সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে মধ্যস্থতা নয়, নিজেরা কথা বলে সমাধানের পথ বের করুক দুই দেশে। সেটাই চায় আমেরিকা। দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতার দাবির ঠিক উলটো কথা শোনা গেল বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর গলায়! রবিবার রুবিও ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ট্যামি ব্রুসের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই জানান, ভারত-পাকিস্তানের সমস্যার সমাধানের সরাসরি নিজেদের মধ্যে কথা বলাকেই সমর্থন করে আমেরিকা। তা সে সীমান্ত সংঘাত থামানো হোক কিংবা কাশ্মীর সমস্যা অথবা দ্বিপাক্ষিক শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয় হোক।
আসলে গত শনিবার বিকেলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশাল মিডিয়ায় সেই খবর জানিয়েছিলেন। তাতে তিনি আরও দাবি বলেন, রাতভর আলোচনায় দুই দেশ এই সিদ্ধান্তে এসেছে। আর তারপর দু’দেশের ডিজিএমও স্তরে আলোচনার পর আপাতত সীমান্ত সংঘাত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় এবং তা ঘোষণা করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। এতেই প্রশ্ন ওঠে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির খবর কেন আগেই ঘোষণা করলেন ট্রাম্প? এখানেই শেষ নয়, রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, চাইলে কাশ্মীর ইস্যুতেও তিনি মধ্যস্থতা করতে পারেন। এই প্রস্তাব মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ”অন্য কেউ মধ্যস্থতা করুক, আমরা চাই না। তাছাড়া কাশ্মীর জটিল বিষয়। আপাতত আমরা পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরত চাই।”
এতেই স্পষ্টতই অস্বস্তিতে পড়ে আমেরিকা। ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে নামেন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও। তিনি ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। দু’জনে একমত হন যে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এরপরই ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে রুবিও বার্তা দেন, ভারত-পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে সরাসরি আলোচনা করেই সমাধান করুক।