‘মধ্যরাতে কমিশন দখল’, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বিজেপিকে তোপ কংগ্রেসের

‘মধ্যরাতে কমিশন দখল’, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বিজেপিকে তোপ কংগ্রেসের

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের শুনানির ঠিক আগে আগে মধ্যরাতে তড়িঘড়ি নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ। নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে বিরোধী দলনেতার মতামতকে সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করা! যেভাবে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে জ্ঞানেশ কুমারকে নিয়োগ করেছে, সেটাকে নির্বাচন কমিশন দখলের শামিল বলে মনে করছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, সুপরিকল্পিতভাবে মধ্যরাতের সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশন দখলের চেষ্টা করছে বিজেপি।

সোমবার গভীর রাতে নতুন নির্বাচন কমিশনার পদে জ্ঞানেশ কুমারের নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কমিটি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বৈঠক করে। ওই বৈঠকে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, যে হেতু সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে ১৯ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে এবং কমিটির গঠন কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তাই এই বৈঠক স্থগিত করা উচিত।

কিন্তু বিরোধী দলনেতার সেই দাবি উপেক্ষা করে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা মতের ভিত্তিতে ওই কমিটি জ্ঞানেশ কুমারকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এটা আসলে ঘুরপথে সুপ্রিম কোর্টের নজর এড়ানোর চেষ্টা। তড়িঘড়ি নেওয়া এই সিদ্ধান্ত গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দখল করার উদ্দেশে নেওয়া। কংগ্রেস নেতে কে সি বেণুগোপাল বলছেন, “যে ভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে জ্ঞানেশ কুমারকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেটা সংবিধানের মূল ধারার বিরোধী। ভোটারদের মনে কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এমনিই বিস্তর সংশয় তৈরি হয়েছে। তড়িঘড়ি এই নিয়োগ সেই সংশয় আরও বাড়াবে।”

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের সময় দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ আইনে বদল আনা হয়। আগে এই পদে নিয়োগের জন্য তিন সদস্যর কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু মোদি সরকারের নতুন আইনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বদলে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সদস্য করা হয়। এই আইন সংসদে পাস হওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। আগামিকাল মামলার শুনানি রয়েছে। তাই সংবিধানকে মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি নিরপেক্ষতার স্বার্থে এখনই নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই দাবি উপেক্ষা করল কেন্দ্র।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *