‘মধ্যপ্রাচ্যে অরাজকতা ছড়াচ্ছে ইজরায়েলই’, রাষ্ট্রসংঘে উলটো সুর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের!

‘মধ্যপ্রাচ্যে অরাজকতা ছড়াচ্ছে ইজরায়েলই’, রাষ্ট্রসংঘে উলটো সুর মার্কিন রাষ্ট্রদূতের!

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধুদেশ ইজরায়েলের পাশে থেকে ইরানের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তারই প্রতিনিধি উলটো সুর গাইলেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কমিশনে। মধ্যপ্রাচ্যে অরাজকতা ছড়ানোর জন্য সরাসরি ইজরায়েলকে দায়ী করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোরোথি শিয়া! ভুলবশত এই ঘটনা ঘটলেও তাঁর মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

‘মধ্যপ্রাচ্যে অরাজকতা নেপথ্যে রয়েছে ইরান’, পরমাণু বোমা তৈরির অভিযোগে পাশাপাশি ইজরায়েল শুরু থেকেই অভিযোগ করছে ইরানের বিরুদ্ধে। সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ইস্যুতেই রাষ্ট্রসংঘে ইরানকে নিশানা করে তোপ দাগছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোরোথি। তবে ইরানকে আক্রমণ করতে গিয়ে ভুল বশত তিনি বলে ফেলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তির জন্য দায়ী ইজরায়েল।’ তাৎক্ষণিক সেই ভুল অবশ্য সামলে নিয়ে অবশ্য ইরানকে তুলোধোনা করেন তিনি। ইজরায়েলকে সমর্থন করে বলেন, “আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে রয়েছে। এবং ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির বিরুদ্ধে ইজরায়েল যা করছে তাতে আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।” যদিও ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তাঁর সেই বক্তব্য রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায়। ভিডিও দেখে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ইরান সমর্থকরা অনেকেই বলছেন, ‘ভুল করে সত্যিটা বলে ফেলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।’

উল্লেখ্য, শনিবার নবম দিনে পড়েছে ইরান ও ইজরায়েলের যুদ্ধ। আমেরিকা এখনও এই যুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিলেও তারা যে যোগ দিতে পারে সেই আভাষ ইতিমধ্যেই দিয়েছে হোয়াইট হাউস। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানান, ”অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও পারে। দুই দিকেই যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকায়, আগামী দুই সপ্তাহের ভিতরে আমি সিদ্ধান্ত নেব যে আমি এটা করব কিনা।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ”প্রেসিডেন্ট সব সময়ই কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী। তিনি শান্তিরক্ষার মূল কাণ্ডারী। যদি এক্ষেত্রে কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের সুযোগ থাকে উনি সেটা নিতে প্রস্তুত। কিন্তু প্রয়োজন পড়লে বলপ্রয়োগ করতেও উনি ভীত নন।”

এই ডামাডোলের মাঝেই শনিবার ইয়েমেনের হাউথি গোষ্ঠীর মুখপাত্র ঘোষণা করেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধে আমেরিকা যদি ইজরায়েলের পক্ষে যোগ দেয় সেক্ষেত্রে লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলা চালাবে তারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *