মণিপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ে বড় হামলা! শহিদ ২ জওয়ান, আহত একাধিক

মণিপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ে বড় হামলা! শহিদ ২ জওয়ান, আহত একাধিক

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শান্তির বার্তার পরই ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর। শুক্রবার সন্ধ্যায় অসম রাইফেলসের কনভয়ে বড়সড় হামলা চালাল বন্দুকবাজের দল। এই অতর্কিত হামলায় শহিদ হয়েছেন ২ জওয়ান। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন। প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার এই হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের দল।

প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, অসম রাইফেলসের জওয়ানদের নিয়ে একটি ‘টাকা ৪০৭’ গাড়ি রাজধানী ইম্ফল থেকে বিষ্ণুপুরের উদ্দেশে আসছিল। পথে নাম্বোল সবাল লেইকাই এলাকায় অতর্কিতে ওই গাড়ির উপর হামলা চালায় বন্দুকবাজের দল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জওয়ানের। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অতর্কিত হামলার পর এলাকা ছেড়ে জঙ্গলের দিকে চম্পট দেয় বন্দুকবাজরা। তাদের খোঁজে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল যে রাস্তার উপর এই হামলা চলেছে কয়েকদিন আগে এই রাস্তা ধরেই গিয়েছিলেন।

হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর শহিদ জওয়ানদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে মণিপুর রাজভবনের তরফে লেখা হয়েছে, ‘আজ সন্ধ্যায় মণিপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনায় অসম রাইফেলসের দুই বীর জওয়ান শহিদ হয়েছেন। রাজ্যপাল মর্মান্তিক এই ঘটনায় শহিদ পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন। দেশরক্ষায় তাঁদের বীরত্ব ও নিষ্ঠা স্বীকৃতির দাবিদার। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন রাজ্যপাল।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের কাপুরুষোচিত হামলা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেবে। অপরাধীরা যোগ্য জবাব পাবে।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ বিতর্কের পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর মণিপুরে পা রাখেন মোদি। চূড়াচাঁদপুরের জনসভায় উপস্থিত হয়ে হিংসা ভুলে শান্তির আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বার্তা দেন, ‘উন্নয়নের জন্য শান্তি জরুরি।’ উত্তর-পূর্বের রাজ্যে উন্নয়নের মেশিন চালিয়ে যেতে সংঘাত থামানোর আর্জি জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতা করানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।” ২০২৩ সাল থেকে কুকি ও মেতেই জনগোষ্ঠীর হিংসায় মেতে রয়েছে মণিপুর। তবে গত ২ বছরে একবারও মণিপুর যাননি মোদি। যার জেরে বিরোধীদের কোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সেই দাগ মুছতে উপহারের ডালি সাজিয়ে মণিপুরে যান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি ফিরতেই ফের হিংসার আগুন জ্বলল মণিপুরে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ







Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *