সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানবিক আচরণে দেব বরাবর মুগ্ধ করেছেন। সেটা রাজনৈতিক ময়দান হোক কিংবা টলিপাড়ার অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে বক্স অফিস যুদ্ধ, একাধিকবার টলিউড সুপারস্টারের সৌজন্যবোধ মন জয় করেছে। বাংলা সিনেমার ‘চ্যাম্পিয়ন’ থেকে রাজনীতির ‘পোস্টারবয়’, সব ভূমিকাতেই নিজগুনে লাইমলাইট কেড়ে নেন তিনি। আর এবার যা করলেন, দেবের সেই ‘কীর্তি’ আপাতত নেটপাড়ায় চর্চার শিরোনামে।
টলিপাড়ার সুপারস্টার কিনা নিজের সিনেমার প্রচার অনুষ্ঠানে নিজে হাতেই মঞ্চে চেয়ার সাজাচ্ছেন। এহেন ক্যামেরাবন্দি মূহূর্ত দেখে নেটপাড়ায় শোরগোল। তারকাসুলভ হাবভাবের লেশমাত্র নেই! ঠিক কী ঘটেছে? বৃহস্পতিবার ‘ধূমকেতু’র মিউজিক লঞ্চের অনুষ্ঠান তখনও শুরু হয়নি। মঞ্চে চেয়ার সাজানো পর্ব চলছিল। নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে দেব নিজেই হাত লাগালেন সেই কাজে। সাধারণত সিনেমার প্রোমোশন মানেই নিরাপত্তাবলয় বেষ্টিত তারকাদের গ্ল্যামারাস উপস্থিতি। কিন্তু দেবের ব্যক্তিত্বই সবসময়ে তাঁকে আচ পাঁচজনের থেকে আলাদা করে দেয়। তারকা সাংসদ হিসেবে দিনভর নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে থাকলেও মাটির কাছাকাছি থাকাই পছন্দ দেবের। ভোটের প্রচারের সময়ও তাঁকে দেখা গিয়েছিল কখনও ঘামে ভেজা টিশার্টে দলীয় কর্মীদের নিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে আবার কখনও বা মাটির মেঝেয় সকলের সঙ্গে বসে পাত পেড়ে মধ্যাহ্নভোজ সারতে। আউটডোর শুটিং থাকলেও ভ্যানিটি ভ্যানে বসে ‘হিরো’ আলাদা খান না। কলাকুশলীদের সঙ্গেই পাত পড়ে তাঁর। ‘রঘু ডাকাত’-এর শুটের সময়েও সেই ঝলক মিলেছিল। প্রযোজক হওয়া সত্ত্বেও সেটের প্রপসও ঠিক করে দেন। এবার ফের একবার মানবিক আচরণের জন্যই নেটপাড়ার মন জিতে নিলেন দেব। নিজের ছবির প্রচার অনুষ্ঠানেও হিরো নন, ধরা দিলেন ‘আমআদমি’ হিসেবেই।
View this publish on Instagram
শুরু করেছিলেন মিউজিক ভিডিও দিয়ে। আজ তিনি বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির সফল অভিনেতা, প্রযোজক। বিগত দেড় দশকে একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন টলিউডকে। রাজনীতির ময়দানেও সাংসদ হিসেবে হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন। তবুও বরাবর সৌজন্যবোধকেই এগিয়ে রেখেছেন দেব। এবার দেবের চেয়ার সাজানোর ভিডিও দেখে আপ্লুত অনুরাগীরা বলছেন, ‘রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান।’