সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের ভোলারি বায়ুসেনা ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি সাত জন বায়ুসেনা কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে। বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের। সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি ভারতীয় সেনার দাবিকে পরোক্ষে স্বীকৃতি দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য হিসাবে ভারতের তরফে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে থাকা ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার কথা জানানো হয়েছে। যদিও পাকিস্তানের পালটা দাবি ছিল, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের উপর হামলা করেছে ভারত। এরপরই সীমান্ত বরাবর ভারতের একাধিক গ্রামে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাক সেনা। এই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটি ও সেনাছাউনিতে প্রত্যাঘাত করে। সেই দাবিকেই এবার মান্যতা দিলেন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ বলেছেন, “ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় ভোলারি বায়ুসেনা ঘাঁটির সাত জন শহিদ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ছ’জন অফিসার ও একজন টেকনিশিয়ান।”
পাকিস্তানের ড্রোন, মিসাইল হামলা প্রতিহত করার পর ভারতের তরফে পাকিস্তানের যে কয়েকটি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভোলারি বায়ুসেনা ঘাঁটি। এই বায়ুসেনা ঘাঁটি করাচি বন্দরনগরী থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের উন্নত বিমানঘাঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল একে। পাক বায়ুসেনার ১৯ স্কোয়াডেনে এবং অপারেশনাল কনভারসেশনের হেড অফিস রয়েছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটিতে।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পর ভোলারি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যেখানে যুদ্ধ বিমানগুলি রাখা থাকে ঠিক সেই জায়গায় ছাদ উড়ে গিয়েছে। বেশকিছু যুদ্ধ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি ভারত সরকারের দাবিকেই পরোক্ষে সমর্থন করল বলে মনে করা হচ্ছে।