ভোট দিতে গেলেই লাগবে মার্কিন নাগরিকত্বের প্রমাণ, ট্রাম্পের নয়া আদেশনামায় বিতর্ক

ভোট দিতে গেলেই লাগবে মার্কিন নাগরিকত্বের প্রমাণ, ট্রাম্পের নয়া আদেশনামায় বিতর্ক

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিরাট পরিবর্তন করেছেন! মঙ্গলবার তিনি স্বাক্ষর করেন এক বিশেষ আদেশনামায়। সেই অনুযায়ী, এবার আমেরিকায় ভোটার হিসাবে নাম নথিভুক্ত করতে হলে দিতেই হবে নাগরিকত্বের প্রমাণ। আর এই নয়া নির্দেশের কথা জানানোর সময় উদাহরণ হিসাবে ভারত ও ব্রাজিলের কথাও তুলে ধরা হল।

নয়া আদেশনামায় বলা হয়েছে, এবার থেকে নির্বাচনের দিনই সকলকে ভোট দিতে হবে। বহু মার্কিন প্রদেশের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে এই সব প্রদেশে নির্বাচনের পরও ব্যালট গ্রহণ করা হয়। যা এবার থেকে আর করা যাবে না। পাশাপাশি ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে হলে দিতেই হবে নাগরিকত্বের প্রমাণ। আর এই প্রসঙ্গে দেওয়া হয়েছে ভারত ও ব্রাজিলের উদাহরণ। বলা হয়েছে, ভারত এবং ব্রাজিল ভোটার চিহ্নিতকরণকে এক বায়োমেট্রিক ডেটাবেসের সঙ্গে সংযুক্ত করছে। যেখানে আমেরিকা মূলত নাগরিকত্বের জন্য স্বপ্রত্যয়িত ঘোষণার উপরই নির্ভর করে।

ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে এই আদেশনামা ঘিরে। মনে করা হচ্ছে, আইনি বাধার মুখে পড়তে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে। যদিও ট্রাম্পের আশা, এবার আমেরিকায় ভোট কারচুপি বরাবরের মতো বন্ধ হতে চলেছে। তাঁর কথায়, ‘আশা করা যায়, এবার এটা বন্ধ হবেই।’ রিপাবলিকানরা এই নয়া আদেশনামাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনতার আস্থা ও বিশ্বাস ফেরাবে এই আদেশনামা। সেই সঙ্গেই তাঁরা বলছেন, ‘এবার মার্কিন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবেন আমেরিকান নাগরিকরাই।’

যদিও বিরোধী ডেমোক্র্যাট এবং ভোটাধিকার সংগঠনগুলো আদেশনামার নিন্দায় মুখর হয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্ভাব্য ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার বিষয়ে। সব মিলিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। আমেরিকায় নির্বাচনী বিধি নির্ধারণের ক্ষমতা মূলত প্রদেশগুলোর হাতেই থাকে। কাজেই প্রেসিডেন্ট হিসাবে এই আদেশনামা ট্রাম্প জারি করলেও আইনি গেরোয় তা কতদূর কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *