সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তকরণে কারচুপির অভিযোগ। তার জেরে বাংলার মোট চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মুখ্যসচিবকে ওই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইার দায়ের করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ওই চারজনের তালিকায় রয়েছেন দুই ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) এবং দুই এইআরও (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)। সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে রয়েছেন বারুইপুর পূর্বের ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী ও তথাগত মণ্ডল এবং ময়নার এইআরও বিপ্লব সরকার, সুদীপ্ত দাস।
নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নিজেদের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের কিছু গোপন নথি দিয়ে নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ করতেন। সেসব ভোটারদের নাম হিসেবে তালিকায় সংযোজিত হতো। আর এতেই ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে ওই চারজনের বিরুদ্ধে। দিল্লির নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ পাওয়ামাত্রই পদক্ষেপ করেছে। সরকারি কাজে অনিয়মের অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে। চিঠিতে কমিশন উল্লেখ করেছে, ”২৯ জুলাই পাওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ। বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের চার নির্বাচনী আধিকারিক নিজেদের কাজ ঠিকমতো করেননি। শুধু তাই নয়, ভোটার তালিকার কাজ করতে গিয়ে তাঁরা গোপনীয়তার নীতিও ভেঙেছেন। নিজেদের লগইন আইডি অন্যদের দিয়ে কাজ করিয়েছেন। যা নির্বাচন কমিশনের নিয়মের পরিপন্থী।” জানানো হয়েছে, ১৯৫০ সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এই আইনে দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।