সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ তুলে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই ইস্যুতে দেশব্যাপী শোরগোলের মাঝেই মুখ খুলল বিজেপি। রবিবার গেরুয়া শিবিরের তরফে রাহুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জানানো হল, কংগ্রেস সাংসদ যদি সত্যিই নিজের দাবিকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেন তাহলে ভুয়ো ভোটারদের নামের তালিকা জমা দিন।
একটি ছোট্ট এক কামরার বাড়িতে ৮০ জন ভোটার! একই বাড়ির সদস্য ৪৩ জন। তাঁদের পদবি আবার আলাদা আলাদা। কর্নাটকের মহাদেবপুরে বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় এই ত্রুটিগুলি তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তথ্য-প্রমাণ সামনে এনে জানানো হয়েছে, ভোটে জিততে বহু কেন্দ্রে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম যুক্ত করা হয়েছে। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার রাহুল জানান, বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে এই বিরাট অপরাধ ঘটিয়েছে। রাহুলের অভিযোগকে সমর্থন জানিয়েছে ইন্ডিয়া শিবিরের নেতৃত্বরা। খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কর্নাটকে যে সমীক্ষা করা হয়েছে সেই সমীক্ষা খোদ মোদির লোকসভাকেন্দ্র বারাণসীতেও হওয়া উচিৎ।
এই বিতর্ক গুরুতর আকার নিতেই রবিবার এই ইস্যুতে মুখ খুলল বিজেপি। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “যদি রাহুল গান্ধী মনে করেন তিনি যা বলছেন তা ১০০ শতাংশ সত্য তাহলে উনি এই বিষয়ে হলফনামা দিন। সেখানে ১৯৬০ সালের ভোটার নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, ভুয়ো ভোটারদের নামের তালিকা জমা দিন।” ওই বিজেপি নেতা বলেন, “উনি নিজে যদি এই আজগুবি তথ্য বিশ্বাস করেন তাহলে উনি এই হলফনামা দেবেন। অন্যথায় বুঝতে হবে তিনি রাজনৈতিক নাটক করছেন। যার উদ্দেশ্য তথ্য বিকৃত করা, জনগনের মধ্যে সন্দেহের বীজ বপন করা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া সাংবিধানিক সংস্থাকে অপমান করা।” মালব্যর দাবি, “রাহুল গান্ধীর এমন বেপরোয়া আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।”