অর্ণব আইচ: ভুয়ো এনআরআই কোটায় ডাক্তারিতে ভর্তির মামলার তদন্তে ‘ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স’ বাজেয়াপ্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ইডির সূত্র জানিয়েছে, মোট ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ‘ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স’ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই ব্যক্তি ও চারটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার জালিয়াতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা।
ইডির সূত্র জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে এই রাজ্য ও ওড়িশায় বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, কলেজগুলির কয়েকজন কর্তা, এজেন্ট ও সংযুক্ত আরও কয়েকজনের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। তাঁদের ইডি টানা জেরা করে। তল্লাশিতে আমেরিকার নোটারির জাল স্ট্যাম্প, ভুয়ো এনআরআই শংসাপত্র ও আরও কিছু জাল নথি উদ্ধার হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, একমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাই এনআরআই স্পনসর হতে পারেন। সেখানে এনআরআইয়ের জাল নথি তৈরি করে তার মাধ্যমেই বহু ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকী, এভাবে ভর্তির জন্য মেডিক্যাল কলেজগুলি এজেন্টদের মদত দেয় ও জাল নথি তৈরির জন্য তাদের প্রচুর টাকাও দেয়। ইডির দাবি, এই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি এমবিবিএস কোর্সের জন্য এক থেকে দেড় কোটি টাকা ও এমডি বা এমএস-এর জন্য তিন থেকে চার কোটি টাকা নিয়ে ভর্তি করে। ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের অনাত্মীয়দের কাছ থেকেও টাকার বিনিময়ে ভুয়ো শংসাপত্র জোগাড় করে ছাত্রছাত্রীদের বিপুল টাকার বিনিময়ে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।