সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হাসি কান্না, হীরাপান্না দোলে ভালে/ কাঁপে ছন্দে ভালো মন্দ তালে তালে।’ রবীন্দ্রনাথ কি টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই এই গান লিখেছিলেন? তা নিশ্চয়ই নয়। তথাপি জীবন ও ক্রিকেটের কুলীন ফরম্যাটের মধ্যে আশ্চর্য মিল! নচেত সাই সুদর্শন নামের ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন প্রতিভাকে দেখার ইচ্ছে এভাবে মাটিতে মিশে যায়! প্রথমে ইনিংসে শূন্য রানে ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরু করেও ছন্দপতন। পুরনো ভুলে ব্যক্তিগত ৩০ রানের মাথায় স্টোকসের বলে জাক ক্রলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। তার আগেই অবশ্য কার্সের বলে খোঁচা দিয়ে যশস্বীও (৪) প্যাভিলিয়নে। তবে সাই না পারলে প্রথম ইনিংসের মতোই দ্বিতীয় ইনিংসেও সুদর্শন ব্যাট করছেন কেএল রাহুল। দিনের শেষে অপরাজিত ৪৭ তিনি। বৃষ্টি আসায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ। আপাতত ৯৬ রানে এগিয়ে ভারত। কোথাকার জল কোথায় গড়াবে তা এখনই বলা কঠিন।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪৭১ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৪৬৫ রানে। যথারীতি ম্যাজিক দেখান সমকালীন ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বোলার জশপ্রীত বুমরাহ। ক্যাচ মিসের ম্যাচেও ৫ উইকেট নেন তিনি। হ্য়ারি ব্রুকের কথাই যদি ধরা যাক। তৃতীয় দিনও তাঁর ক্যাচ ফসকান যশস্বী। তখন ইংরেজ ব্যাটারের রান ৮২। দু-দু’বার বেঁচেও শতরান না করতে পারার হতাশা তিনি সহজে ভুলতে পারবেন না। এদিকে বুমরাকে পর্যাক্রমে সঙ্গে দিয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং মহম্মদ সিরাজ। যথাক্রম ৩ ও ২ উইকেট পেয়েছেন তাঁরা।
প্রথম ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটারদের মতো তিন-তিনটি সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডের ঝুলিতে না এলেও মাত্র ১৩৭ বলে ওলি পোপের সেঞ্চুরি কার্যকরী ভূমিকা নেবে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে। পাশাপাশি কিছুটা ভাগ্যদেবীর সাহায্যে ব্রুকের ১১২ বলে ৯৯ রানের ইনিংসের জন্য ভারতকে না পস্তাতে হয়। এছাড়াও ছোট ছোট ছোট ছোট কার্যকরী পার্টনারশিপে এগোতে থাকে ইংল্যান্ডের ইনিংস। প্রথমে বেন স্টোকস (২০)-কে সঙ্গে নিয়ে ৪১ এবং জে স্মিথ (৪০)-কে সঙ্গে নিয়ে ৭৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ গড়েন হ্যারি ব্রুক। শেষ কথা অবশ্য বলবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং। রাহুলকে সঙ্গ দিতে বাইশগজে সবে নেমেছেন অধিনায়ক শুভমান গিল। পিকচার আভি বাকি হ্যায়!