সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভালোবাসি’ বলাটা যৌন হেনস্তার মধ্যে পড়ে না। যদি না সেই শব্দের সঙ্গে এমন কোনও আচরণ থাকে যা স্পষ্টভাবে যৌন অভিপ্রায়কে প্রতিফলিত করে। পকসো মামলায় অভিযুক্ত এক যুবককে মুক্তি দিয়ে এমনটাই জানাল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বিচারপতি উর্মিলা যোশী-ফালকের পর্যবেক্ষণ, আমি তোমাকে ভালোবাসি এই বাক্যটি কেবল অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। এটি কখনই যৌন হেনস্তা কিংবা শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা করে না।
শুনানি চলাকালীন আদালত জানিয়েছে, বলপূর্বক হাত বা পোশাক ধরে টানাটানি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, কুপ্রস্তাব, আশালীন মন্তব্যের মতো বিষয়গুলি যৌন কার্যকলাপের মধ্যে পড়ে। কিন্তু শুধুমাত্র ‘ভালোবাসি’ বলাটা কোনও যৌন অভিপ্রায়কে প্রতিফলিত করে না। পাশাপাশি, এটি যৌন হেনস্তার মধ্যেও পড়ে না।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল বছর সতেরোর এক নাবালিকা। সেই সময়ে তার পথ আটকায় অভিযুক্ত। নাবালিকার হাত ধরে ওই যুবক বলেন, “আমি তোমাকে ভালোবাসি।” বাড়ি ফিরে নাবালিকা গোটা বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। তারপরই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পকসো আইনের ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। ২০১৭ সালে নাগপুরের একটি নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। অবশেষে সোমবার মামলার শুনানির পর তাঁকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।