স্টাফ রিপোর্টার: আরও একটা পাকিস্তান ম্যাচ। ভারতের আরও একটা জয়। এবং ম্যাচ শেষে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারের ক্ষতে নুনের ছিটে সূর্যকুমার যাদবের।
ওহ, বাইশ গজে ওয়াঘার দু’পারের দুই দেশের আটাত্তর বছরের দ্বন্দ্বকে আর ‘বিশেষ’ মর্যাদা দিতে রাজি নন সূর্যকুমার। বরং এক সময়ের ‘বিশ্বযুদ্ধ’-সম ম্যাচকে তিনি দেখছেন আর পাঁচটা সাধারণ ম্যাচের মতোই। শুধু তাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে পাকিস্তানের ‘বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত’ হওয়ার প্রিভিলেজও এক ঝটকায় ছিনিয়ে নিলেন ভারত অধিনায়ক। রবিবাসরীয় দুবাইয়ে ছয় উইকেটে পাক-বধ শেষে সূর্য যা যা বললেন, তাতে প্রতিবেশী দেশের আওয়াম যে আরও মুষড়ে পড়বে, তা বললে অতিশয়োক্তি হবে না মোটেই। ভারত-পাক প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে প্রশ্ন শুনে সূর্যর সটান জবাব, “আপনারা আর এই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শব্দটা ব্যবহার করবেন না, প্লিজ। কোনও দলের সময় ভালো নাও যেতে পারে। কিন্তু আমরা মতে, যদি দু’টো দল ১৫-২০টা ম্যাচে মুখোমুখি হয় এবং ফলাফল ৭-৭ বা ৮-৭ হয়, তখন তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলা যেতে পারে। ১৩-০, ১০-১- ঠিক জানা নেই তফাত এখন ঠিক কত। তবে এই ম্যাচটা আর রাইভ্যালরি নয়।”
পাকিস্তানের প্রশ্ন যতটা ‘খাড়ুশ’, সতীর্থদের ক্ষেত্রে ততটাই নমনীয় সূর্যকুমার। পরের পর ক্যাচ ফেলে একটা সময় দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা, কুলদীপ যাদবরা। ম্যাচ শেষে সেই প্রশ্ন উঠতেই বলে গেলেন, “আমাদের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ বিষয়টি দেখছেন। যারা ক্যাচ ফেলেছে, সবার কাছে নিশ্চয়ই এতক্ষণে ই-মেল চলে গিয়েছে।” কোনও দোষারোপ নয়, কোনও বকাবকি নয়। বরং দলের অন্যতম সিনিয়র হিসাবে সতীর্থদের সব সমালোচনা থেকে আড়াল করে গেলেন সূর্য। যেমন পাশে দাঁড়ালেন জসপ্রীত বুমরাহর। এদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় পেসারের পরিসংখ্যান ৪-০-৪৫-০, যা মোটেই বুমরাহ-সুলভ নয়। তবে তা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট যে বিশেষ উদ্বেগে নেই, তা শুনিয়ে গেলেন সূর্য। “বুমরাহ রোবট নয়। ওর খারাপ দিন আসতেই পারে,” জবাব ভারত অধিনায়কের। সঙ্গে প্রশংসা করলেন শিবম দুবের, “সঠিক সময়ে দলকে সাহায্য করেছে।”
শুরুর দিকে বেশ দাপট নিয়ে খেলছিল পাকিস্তান। তবে চাপে পড়েননি সূর্য। বরং দলকে ইতিবাচক বার্তাই দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দশ ওভার পর আমি সবাইকে বলি যে চাপ নেওয়ার কোনও কারণ নেই। ম্যাচের তো সবে শুরু।” সত্যি, ভারতের জন্যও তো এশিয়া কাপ সবে শুরু হয়েছে।