‘ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী’, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আস্ফালনের পালটা হুঙ্কার আমেরিকার

‘ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী’, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আস্ফালনের পালটা হুঙ্কার আমেরিকার

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূকৌশলগত ক্ষেত্রে ভারত আমেরিকার অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কয়েকদিন আগেই এই কথা ঘোষণা করলেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট। উল্লেখ্য, সোমবারই জানা গিয়েছে, সম্ভবত একটি জোট গড়ার দিকে এগোচ্ছে চিন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ। সেটা হলে স্বভাবতই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ভারত এবং আমেরিকার সমস্যা বাড়বে। তাই চিন-সহ অন্যান্য দেশকে বার্তা দিতেই সম্ভবত হোয়াইট হাউসের তরফে এই ঘোষণা করা হল।

সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের জবাবেই ক্যারোলিন বলেন, “এশিয়া-প্যাসিফিকের ভূকৌশলগত ক্ষেত্রে ভারত আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। আমাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কও খুব ভালো।” উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন রুখতে বরাবর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে কোয়াড। সোমবার সেই কোয়াডের বৈঠকে যোগ দিতে ওয়াশিংটন উড়ে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

চিনকে রুখতে ভারতের ভূমিকার প্রশংসার পাশাপাশি বাণিজ্যচুক্তি হওয়ার বিষয়টিও ঘোষণা করেন ক্যারোলিন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন খুব দ্রুতই ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি হবে। সেটা সত্যিই হতে চলেছে। ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাণিজ্য সচিবের কথা হয়েছে। আপাতত বাণিজ্যচুক্তির শর্তাবলি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। সেটা চূড়ান্ত হয়ে গেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট।”

উল্লেখ্য, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চুক্তির শর্তাবলি নিয়ে ভারত-আমেরিকা দুপক্ষই একমত হয়ে গিয়েছে। বাণিজ্য বিভাগের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে ওয়াশিংটনে গিয়ে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে ভারত। তারপরেই জানা গিয়েছে, আগামী ৮ জুলাই ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া বস্ত্র, গয়না, চর্মজাত জিনিস, প্লাস্টিক, কেমিক্যাল, চিংড়ি, তৈলবীজ, ফল ইত্যাদির উপর মার্কিন কর কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পালটা ইলেকট্রিক গাড়ি, মদ, ডেয়ারি পণ্যের মতো জিনিসে কর কমাতে বলেছে আমেরিকাও। শেষ পর্যন্ত দুপক্ষে সমঝোতা হয়েছে বলেই খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *