সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লর্ডস টেস্টে বিতর্কের কেন্দ্রে ডিউক বল। নতুন বল নেওয়ার ১০ ওভার পরই তা পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। ম্যাচের মাঝেই এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন শুভমান গিল, মহম্মদ সিরাজরা। ইংরেজ মিডিয়া তাতে ভারত অধিনায়ককে নিয়ে সমালোচনায় মুখর। ব্যাপারটা একেবারেই ভালোভাবে নেননি সুনীল গাভাসকর, অনিল কুম্বলেরা। ঘটনা হচ্ছে, তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ইংল্যান্ডকেও একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
গাভাসকর বলছেন, “যদি এই ধরনের ঘটনা ভারতে ঘটত, তাহলে ব্রিটিশ মিডিয়া এতক্ষণে রে রে করে ছুটে আসত। যদি আগের বলের মতো পর্যাপ্ত বল না থাকত, তাহলে ওরা বিষয়টা ফলাও করে লিখত।” অন্যদিকে অনিল কুম্বলে বলছেন, “বল খুব তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যাচ্ছে। বলের আকার বদলে যাচ্ছে। কিছু একটায় তো ঠিক করা দরকার। যদি ১০ ওভারও কোনও বল না টেকে, আর একই সমস্যা প্রায়ই হতে থাকে, তাহলে সেটা ভালো বিষয় নয়। বলের জন্য তো বটেই, ক্রিকেটের জন্যও।”
কুম্বলের আরও বক্তব্য, “আমার মতে পাঁচ বছর আগে যে ডিউক বল ছিল, সেটাই ফিরিয়ে আনা উচিত। এটা করলে নিশ্চয়ই ভালো হবে। বল রিভার্স করার সুযোগও বাড়বে। এখন অনেক জায়গাতেই বল রিভার্স করা কমে গিয়েছে।” প্রাক্তন ইংরেজ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডও ডিউক বল নিয়ে সমালোচনা করেছেন। শুভমান গিলের বিরোধিতায় ইংরেজ মিডিয়া সোচ্চার হলেও তৃতীয় দিনে জোফ্রা আর্চারও বল পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেন।
তবে বল বিতর্কের দায় ঝেড়ে ফেলেছে ডিউক বল প্রস্তুতকারক সংস্থা। নির্মাতা দিলীপ জাজোদিয়ার বক্তব্য, “বিশ্ব ক্রিকেটে তিনটি সংস্থা বল তৈরি করে- ডিউক, এসজি ও কোকাবুরা। বল বানানো অতো সহজ নয়, তাহলে শত শত সংস্থা বল বানাত। আমাদের বলে কোনও সমস্যা নেই। চামড়া, কর্ক আর রাবারের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে বল তৈরি করা হয়। আমাদের টেকনিক্যাল দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গাই নেই। কিন্তু আবহাওয়া কেমন থাকবে, সেটা আমাদের বল বানানোর সময় বিবেচ্য থাকে না। ভারতের অধিনায়ক সবচেয়ে বেশি রান করেছে। দুজন বোলার ৬টা করে উইকেট পেয়েছে।”