‘ভারতে ঢুকে জেহাদ করবে, চড়-থাপ্পড় খাবে না?’, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে তোপ তসলিমার

‘ভারতে ঢুকে জেহাদ করবে, চড়-থাপ্পড় খাবে না?’, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে তোপ তসলিমার

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২২ এপ্রিল, পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ঘটে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। যে সন্ত্রাসের খবর নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সেদিনও ছিল মঙ্গলবার। কাট টু ৬ মে। মঙ্গলবার মধ্যরাত ১.৪৪ মিনিট। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে হামলা চালাল ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিঁদুর অভিযানে স্বাভাবিকভাবেই আমজনতার মতো ভারতীয় বিনোদুনিয়ার তারকারাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এমন আবহেই ভারতের প্রত্যাঘাতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে কলম ধরলেন তসলিমা নাসরিন।

বাংলাদেশ হোক কিংবা পাকিস্তান, দুই প্রতিবেশী দেশের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে বরাবর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন লেখিকা। এবার ভারতের অপারেশন সিঁদুর অভিযানের পরও পাকিস্তানকে তোপ দাগতে ছাড়লেন না তসলিমা। ‘রণং দেহি’ ভারতের পালটা জবাবে যখন যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠার আশঙ্কা করছেন অনেকে, তখন সেই আবহেই লেখিকা বলছেন, ‘না, যুদ্ধ-টুদ্ধ কিছু নয়। পাকিস্তানের ন’টা জঙ্গি আস্তানা উড়িয়ে দিয়ে এসেছে ভারত। এটার দরকার ছিল।’ এরপরই তসলিমা নাসরিনের সংযোজন, ‘ভারতের ভিতর জেহাদ করতে ঢুকবে, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করবে আর বিনিময়ে কোনও চড়-থাপ্পড় পর্যন্ত খাবে না, তা তো হয় না। যেখানে যত জঙ্গি আস্তানা আছে, সব উড়িয়ে দেওয়া দরকার।’ সংশ্লিষ্ট পোস্টেই শাহবাজ সরকারকে কটাক্ষ করে লেখিকার মন্তব্য, ‘পাকিস্তান যদি নিজেদের জঙ্গি আস্তানা নিজেরা উড়িয়ে না দেয়, তবে সেটার দায়িত্ব তো ভারতের উপরই পড়ে।’ পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকেও রেয়াত করেননি তসলিমা নাসরিন।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে কটাক্ষ করে লেখিকার মন্তব্য, ‘বাপ ঠাকুরদার দেশের প্রতি মানুষের একটু হলেও মায়া থাকে। কিন্তু আসিম মুনিরের মায়া বলতে কিছু নেই। তিনি কি বাপ ঠাকুরদার ভিটে দেখতে কখনও এসেছিলেন জলন্ধরে? হয়তো আসেননি, কারণ তাঁর ভারতবিদ্বেষ লাগামছাড়া। ছোটবেলায় রাওয়ালপিণ্ডির মাদ্রাসায় বসে কোরান মুখস্থ করতে শিখেছেন, কোরানকে গুলে মস্তিস্কে ঢুকিয়ে ফেলতে শিখেছেন। বাবা মসজিদের ইমাম। সুতরাং তাঁর কাছে মসজিদই ছিল বাড়িঘর। মসজিদে-মাদ্রাসায় বড় হওয়া ছেলে, কোরান হাদিসে কী লেখা আছে জানেন। লেখা আছে জিহাদ করো, বিধর্মী মারো। শৈশব থেকে মন্ত্রের মতো আওড়েছেন সেই সব আয়াত। মাদ্রাসা পাশ করা ইমামপুত্র গেলেন আর্মিতে। ক্ষমতা নেওয়া, মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়া জিয়াউল হকের শিষ্য হলেন। এই জিহাদি সেনাপ্রধান জওয়ানদের জিহাদ করার জন্য উৎসাহ দেন।’ সেই পোস্টেই মুনিরের উদ্দেশে তসলিমার কড়া তোপ, ‘এখন যতই চোয়াল শক্ত করুন, মুষ্টিবদ্ধ করুন হাত, তিনি কিন্তু প্রতিশোধ নিতে ভারতের কোনও টেরর ক্যাম্পে মিসাইল ছুড়তে পারবেন না। এর একটিই কারণ, পাকিস্তানের মতো ভারতে সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ক্যাম্প নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *