সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও ডেডলাইনের চাপে পড়বে না নয়াদিল্লি। ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে অন্তবর্তী বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে তখনই সবুজ সংকেত দেওয়া হবে যখন উভয়পক্ষেরই লাভ থাকবে। শুক্রবার একথা সাফ জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বললেন, ”ভারতের স্বার্থই সবচেয়ে জরুরি, কোনও ডেডলাইন নয়।”
বৃহস্পতিবারই শোনা গিয়েছিল, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে অন্তবর্তী বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর হতে চলেছে। এখনও এই ব্যাপারে সরাসরি কোনও কথা কোনও তরফেই জানানো হয়নি। বরং শোনা গিয়েছে চুক্তির বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষেরই আপত্তি রয়েছে এবং তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে অনড়। যদিও আলোচনার মাধ্যমে সেগুলি দ্রুত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে দুই দেশই। এই পরিস্থিতিতে এদিন বাণিজ্যমন্ত্রীর কথাতেও সেই সুরই লক্ষ করা গেল। তিনি বলেন, ”একেবারে উইন-উইন চুক্তি হতে হবে। এবং ভারতের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকাই একমাত্র শর্ত। জাতীয় স্বার্থ সবসময়ই অগ্রাধিকার পায়। এবং সেক্ষেত্রে মাথাতে রাখতে হবে যদি কোনও ভালো চুক্তি সম্পন্ন হয়, ভারত সব সময় উন্নত দেশগুলির সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তুলবে।” কেবল আমেরিকাই নয়, পেরু, ওমান, নিউজিল্যান্ড, চিলি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির সঙ্গেও কথা চালাচ্ছে ভারত। এমনটাই জানালেন পীযূষ।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ‘বিগ বিউটিফুল ইভেন্ট’ নামে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “আমাদের সঙ্গে সকলেই চুক্তি করতে চায়। মনে করে দেখুন। কয়েক মাস আগে এই সংবাদমাধ্যমই বলাবলি করছিল, আদৌ কি কোনও দেশ বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী? তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, গতকালই আমরা চিনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি। আরও একটা বড়সড় একটা চুক্তি করতে চলেছি, সম্ভবত ভারতের সঙ্গে। বিরাট বড়মাপের চুক্তি হবে।” এরপরই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে। এখন দেখার, কবে এই বিষয়ে কোনও ঘোষণা করে নয়াদিল্লি কিংবা ওয়াশিংটন।