সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ দিন যুদ্ধ চলার পর অবশেষে মঙ্গলবার সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে ইরান এবং ইজরায়েল। যুদ্ধ চলাকালীন তেহরানের পাশে থাকার জন্য এবার ভারতকে ধন্যবাদ জানাল ইরান। নয়াদিল্লির ইরানি দূতাবাসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। যুদ্ধ চলাকালীন তাঁরা আমাদের নৈতিকভাবে সমর্থন করেছেন এবং সংহতির বার্তা দিয়েছেন।
দূতাবাস তাদের এক্স হ্যান্ডেলে লেখে, ‘ইজরায়েল এবং আমেরিকার সামরিক আগ্রাসনের কড়া জবাব দিয়েছে ইরান। ভারতের সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, সমাজকর্মী-সহ সকলকে আমরা ধন্যবাদ জানাই, যারা এই যুদ্ধে আমাদের পাশে থেকেছেন।’ ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা এই যুদ্ধে শুরু থেকেই নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছিল ভারত।একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মেতে ওঠা দুই দেশই ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ফলে শুরু থেকেই এই যুদ্ধ থামাতে দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল নয়াদিল্লি। গত রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। সেই সময় থেকেই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। একদিন পর সেই আশঙ্কা সত্যি করে ইজরায়েলে পালটা হামলা চালায় ইরান। ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। মৃত্যু হয় ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। প্রাণ হারান ইরানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানিরও। এছাড়াও পারমাণবিক গবেষণাকারী অন্তত ৯ জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়ছে বলে জানিয়েছে ইরান। ইরানের প্রত্যাঘাতে বারবার কেঁপে ওঠে তেল আভিভ-সহ গোটা ইজরায়েল।
পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় ২২ জুন। ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে আমেরিকা। ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় মার্কিন বায়ুসেনা। জবাবে মিসাইল ছুড়ে ইজরায়েলকে ঝাঁজরা করে দেয় তেহরান। আমেরিকাকে শিক্ষা দিতে সিরিয়া-কাতার-ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতেও হামলা চালায় ইরান। এর মধ্যেই সোমবার ভোর রাতে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প।