সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা ছিল, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই রাহুল ঢোলাকিয়া পরিচালিত পিরিয়ড ড্রামার শুটিং শুরু করবেন। যে ছবিতে ভারতের পয়লা নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেনের ভূমিকায় রয়েছেন সইফ আলি খান। নেহরুযুগে দেশের প্রথম নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ‘রাজসূয় যজ্ঞ’ কীভাবে সামাল দিয়েছিলেন এক বঙ্গসন্তান? সেই কাহিনিই নেটফ্লিক্সের জন্য তৈরি এই ছবিতে ফুটে উঠতে চলেছে। তবে জানুয়ারি মাসে হামলাকাণ্ডের জেরে শুটিংয়ের পরিকল্পনা বিশ বাঁও জলে চলে যায়। এবার শোনা গেল, রবিবার থেকেই মুম্বইয়ের বাল্লার্ড এস্টেটের হোটেলে শুরু হয়েছে সেই ছবির শুটিং।
বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই রাহুল ঢোলাকিয়া পরিচালিত এই পিরিয়ড ড্রামার শুটিংয়ে যোগ দিচ্ছে সইফ আলি খান। হামলার পর এই প্রথম কোনও সিনেমার শুটিং করতে চলেছেন নবাব। আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে মুম্বইয়ের বিভিন্ন লোকেশনে হবে এই সিনেমার শুটিং। সইফের পাশাপাশি এই পিরিয়ড ড্রামায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে দীপক দোবরিয়াল এবং প্রতীক গান্ধীকে। দেশের পয়লা নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন সম্পর্কিত বইপত্র খুবই কম। অতঃপর এক বিস্মৃত বাঙালিকে নিয়ে তৈরি এই সিনেমা নিয়ে যে দর্শকদের আলাদা কৌতূহল থাকবে, তা আন্দাজ করাই যায়।
ভারতের প্রথম গণতন্ত্রের উৎসব পরিচালনার দায়িত্ব ছিল যাঁর ওপরে, তিনি সুকুমার সেন। স্বাধীনতার বছর দুয়েক বাদে ১৯৫১ সালে পয়লা গণতন্ত্রের উৎসব। ৪৫০০ আসনে ভোট। ২,২৪,০০০ ভোটদান কেন্দ্র। কুড়ি লক্ষ ইস্পাতের ব্যালট বাক্স। ৫৬০০০ প্রিসাইডিং অফিসার, সহায়ক আরও ২৮০০০০ কর্মী। নির্বাচকদের নাম টাইপ করে নির্বাচনকেন্দ্র অনুযায়ী সাজিয়ে ভোটার লিস্ট তৈরি করার জন্য ছ’মাসের চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ১৬৫০০ কর্মীকে। আর এই বিপুল কর্মযজ্ঞের জন্য নেহরু, সুকুমার সেনকেই বেছে নিয়েছিলেন। সম্ভবত সেটা তাঁর একাধারে প্রসাশনিক দক্ষতা থাকার কারণে কিংবা গণিতজ্ঞ হওয়ার জন্য। বাইশ বছর বয়সে সুকুমার সেন যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে। প্রথমে কাজ করেছিলেন নানা জেলায়। তার পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব পদে যোগ দেন। শোনা যায়, সেখানে থেকেই তাঁর কর্মদক্ষতার কথা পৌঁছেছিল প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কানেও। কীভাবে সেই কর্মযজ্ঞ দক্ষ হাতে সামলান বর্ধমানের ভূমিপুত্র? সেই গল্পই নেটফ্লিক্সের পর্দায় ফুটিয়ে তুলবেন সইফ আলি খান।