সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। আপারেশন সিঁদুরের পরই সংঘর্ষবিরতির জন্য দিল্লিকে ফোন করে ইসলামাবাদ। সম্প্রতি সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের এই মিনতি যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল। কারণ, ততক্ষণে পাক সেনা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাবর্ষণ শুরু করে দিয়েছিল। অবশেষে ইসলামাবাদের বারবার মিনতিতে গত ১০ মে এই সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দুই দেশ।
সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। এরপর ১২মে ফের কথা হয় তাঁদের। সেদিনের আলোচনা মতো আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে। যদিও সংঘর্ষবিরতি শুরুর পরও তা লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। সেই সময় ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সেনা কমান্ডারদের তা প্রতিহত করতে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরও জানান, পাকিস্তান চুক্তিভঙ্গ করতে থাকলে এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। জানা গিয়েছে, পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা।