ভারতীয় মহাকাশচারীর সঙ্গে অন্তরীক্ষে যাবে জলভালুক! কোন পরীক্ষা করতে চায় ISRO?

ভারতীয় মহাকাশচারীর সঙ্গে অন্তরীক্ষে যাবে জলভালুক! কোন পরীক্ষা করতে চায় ISRO?

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুভাংশু শুক্লা। সুনীতা উইলিয়াম পৃথিবীতে ফেরার পর এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারীকে ঘিরেই আগ্রহ মহাকাশপ্রেমীদের মধ্যে। অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী হবেন শুভাংশু। এই বেসরকারি মিশন মহাকাশ অভিযানের এক ঐতিহাসিক অধ্যায় হয়ে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই প্রথম এক ভারতীয় নভোচর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছবেন কোনও বেসরকারি মিশনের অংশ হয়ে। আর সেই মিশনের মাধ্যমে ইসরোও করতে চায় গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা। যার অন্যতম জলভালুক ওরফে টার্ডিগ্রেডসদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট!

১৪ দিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে থাকবেন শুভাংশু। জিরো গ্র্যাভিটিতে কাজ করতে হবে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম ‘ভয়েজার টার্ডিগ্রেডস এক্সপেরিমেন্ট’। ১৭৭৩ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল এই আশ্চর্য প্রাণীটি। মাত্র ০.৩৩ মিলিমিটার থেকে ০.৫ মিলিমিটার দীর্ঘ প্রাণীরা আসলে আণুবীক্ষণিক। পৃথিবীর সর্বত্রই এদের দেখা যায়। মহাকাশ স্টেশনে এদের নিয়েই পরীক্ষা করা হবে। দেখা হবে মহাশূন্যে এরা কীভাবে টিকে থাকে, কীভাবে বংশবৃদ্ধি করে ইত্যাদি।

কিন্তু এদের নিয়ে এত পরীক্ষা কেন? আসলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও টিকে থাকতে পারে এই জলভালুকরা। কীভাবে তারা ডিএনএ-কে রক্ষা করে অথবা সারিয়ে তোলে, সেসব দেখে বিজ্ঞানীদের মহাকাশে টিকে থাকার কৌশলে নতুন কিছু করা যায় কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা হবে। সাধারণ ভাবে দীর্ঘ মহাকাশ মিশনে প্রবল তেজস্ক্রিয়তার মধ্যে থাকতে হয় নভোচরদের। এক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিকূলতার সঙ্গে যুঝবার পাঠ দিতে পারে জলভালুকের টিকে থাকার কৌশল।

নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে Ax-4-কে। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মহাকাশচারীরা স্পেসএক্স ড্রাগনে চেপে ১৪ দিনেরও ওই মহাজাগতিক সফরে অংশ নেবেন। এই দলেরই অন্যতম শুক্লা। ভারতীয় বায়ুসেনার এই টেস্ট পাইলট গগনযান প্রকল্পেরও একজন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *