সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা পণ্যের আমদানিতে বেজিংয়ের ঘাড়ে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। শুল্কযুদ্ধের ধাক্কায় করুণ অবস্থা চিনের। এই পরিস্থিতিতে জিনপিং প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, ভারতীয় পণ্যের জন্য চিনা বাজার খুলে দিতে চায় তারা। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছু ভারতীয় পণ্যকে চিনের বাজারে জায়গা করে দিতে প্রস্তুত বেজিং। পালটা তাঁর আশা, ভারতও চিনা সংস্থাগুলিকে ভারতে ব্যবসা করার স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন পরিবেশ দেবে। ফেইহং বলেছেন, ”চিন কখনওই ইচ্ছাকৃত ভাবে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ায় না।” প্রসঙ্গত, ভারত ও চিনের বাণিজ্য ঘাটতি ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আশা করা হচ্ছে, চিনের এহেন পদক্ষেপে সেই ঘাটতি অনেকটাই মেটানোর সুযোগ নয়াদিল্লি।
জু ফেইহং আরও বলছেন, ”ভারত-চিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক পারস্পরিক লাভ ও একেবারেই ‘উইন-উইন’ সহযোগিতার। গত মাসেই প্রেসিডেন্ট জিনপিং জানিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারের জন্য বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সুযোগ সরবরাহ করতে চান।”
একে অপরের দিকে শুল্ক-বাণ ছুড়ে চলেছে আমেরিকা ও চিন। ভারত, কানাডা, চিন-সহ একাধিক দেশের উপর ২ এপ্রিল থেকে ব্যাপক হারে শুল্ক চাপিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু রেহাই মেলেনি চিনের। তাদের উপরে ২৪৫ শতাংশ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকাকে পালটা দিতে চিন তাদের উড়ান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিং বহুজাতিক সংস্থা বোয়িং কোম্পানির থেকে নতুন করে যেন কোনও বিমান অর্ডার না করা হয়। এর আগে আমেরিকা চিনকে মোবাইল, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিন চিপস-সহ বেশ কিছু পণ্যে করছাড় দেয়। এই সিদ্ধান্তের জেরে কার্যত খাদের কিনারে চলে যাওয়া চিন কিছুটা হলেও উপকৃত হবে বলে মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। এবার ফের শুল্ক বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করায় সেই ধারণা যে বিশ বাঁও জলে চলে গেল, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে পাশে পেতে বাজার খুলে দিতেও আপত্তি নেই বলে জানাল বেজিং।