সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে নাস্তানাবুদ হয়েছে পাকিস্তান। সেই জ্বালা মেটাতে এবার ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের হেনস্তা শুরু করল ইসলামাবাদ! দূতাবাসের কর্মীদের জল, রান্নার গ্যাসের পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের দৈনিক সংবাদপত্র দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। শত্রুরাষ্ট্রে কর্মরত দূতাবাসের কর্মীদের বক্তব্য, “এই ঘটনা ইচ্ছাকৃত, পূর্বপরিকল্পিত এবং ভিয়েনা চুক্তির লঙ্ঘন।”
সংবাদ সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি সরকারি সূত্রে জানিয়েছে, পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তার পরিকল্পনা করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। যাতে করে তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রা এবং কাজ ব্যাহত হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেডের (এসএনজিপিএল) গ্যাস পাইপলাইন রয়েছে দূতাবাসে। যদিও ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতারা, যাঁরা ইতিপূর্বে জ্বালানি সরবরাহ করতেন, তাঁদেরও পাক কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে—তাঁরা যেন ভারতীয় কর্মীদের কাছে গ্যাস বিক্রি না করেন। এই অবস্থায় খোলা বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছেন দূতবাস কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, একই ভাবে পানীয় জল সরবরাহকারী ভেন্ডারের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁর যেন ভারতীয় দূতাবাসে পানীয় জল সরবরাহ না করেন। এর ফলে চরম বিপদে পড়েছেন দূতাবাস কর্মীরা। যেহেতু পৌরসভার জল ফিল্টার না করে খাওয়া বিপজ্জনক। একইভাবে সংবাদপত্র ব্যবসায়ীদেরও দূতাবাস কর্মীদের কাছে সংবাদপত্র বিলি করতে বারণ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় দূতাবাস যাতে স্থানীয় সংবাদ সম্পর্কে অবগত না হতে পারে, সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে কৌশলে।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, এভাবে দূতাবাস কর্মীদের হেনস্তা কেবল ভিয়েনা চুক্তির লঙ্ঘন নয়, পাশাপাশি ক্রমশ ভঙ্গুর ভারত-পাক সম্পর্কের জন্য বিপজ্জনক। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারত-পাক সংঘর্ষের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে। এই অবস্থায় ভারতীয় দূতবাস কর্মীদের হেনস্তায় কী জবাব দেয় দিল্লি সেটাই এখন দেখার। যদিও বিদেশ মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। যদিও একটি পাক সংবাদমাধ্যমের পালটা দাবি, ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানি দূতাবাস কর্মীদের খাবার, গ্যাস, ইন্টারনেট, সংবাদপত্র সরবরাহ বাধা করা হয়েছে।